দৈনিক গৌড় বাংলা

সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

এই গরমে স্বস্তি মিলবে যেমন পোশাকে

গ্রীষ্মের দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যাদের প্রয়োজনে বাইরে যেতেই হয়, তাদের থাকতে হবে সচেতন। অতিরিক্ত গরম ও ঘাম থেকে বাঁচতে এ সময় পোশাক নির্বাচন করতে হবে বুঝেশুনে।
হিউস্টনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির মুখপাত্র ডা. রজনী কট্টা জানান, তীব্র গরমে ভুল পোশাক নির্বাচন করলে ত্বকের নানা জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। ত্বক জ¦ালা করা বা ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত তাপ আপনাকে ক্লান্তও করে দেবে দ্রুত।
অত্যধিক ঘামের মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত পানি বা লবণ হারায়, তখন তাপ নিঃসরণ ঘটে। চিকিতসা না করা হলে এটি হিট স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দিন তাই। মানুষের ত্বক থেকে সরাসরি তাপ বিকিরণ করে এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর তাপমাত্রা নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক ত্বকের ঘাম গ্রন্থিগুলোকে খুলতে এবং ব্যস্ত হতে বলে। কিন্তু ঘাম আমাদের শীতল করে না, এটি আমাদের ত্বক থেকে সেই আর্দ্রতার বাষ্পীভবন করে যা শরীরকে ঠান্ডা করে।
এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না চাইলে এমন পোশাক পরতে হবে যা ঢিলেঢালা এবং শরীর থেকে ঘামের বাষ্পীভবন এবং ত্বক থেকে তাপ নিঃসরণ করতে পারে। এ সময়ে সুতির নরম কাপড়ের পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের কাপড় খুব দ্রুতই ঘাম শুষে নেয়। পোশাকের রঙ বাছাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রঙ বেছে নিন তীব্র গরমের সময়। গাঢ় রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা বেশি। ফলে গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি লাগে। সাদা রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা কম। তাই গরমে এই রঙের পোশাকই পরা ভালো। সাদার পাশাপাশি যেকোনো হালকা রঙের পোশাকও গরমে স্বস্তি দেবে। জমকালো কারুকাজ করা পোশাক এই গরমে এড়িয়ে গেলেই ভালো করবেন।
ঘুমানোর সময় ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। লিনেনের পোশাকও পরতে পারেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *