দৈনিক গৌড় বাংলা

রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন

গ্র্যান্ড স্লাম ম্যাচ চালাতে প্রথম শর্তই হলো রেফারিকে হতে হবে হোয়াইট ব্যাজধারী। সেই শর্ত পূরণে সফল হয়েছেন আন্তর্জাতিক টেনিসে প্রথম বাংলাদেশি নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন। টেনিসে দেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে এমন সাফল্য অর্জন করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও মালয়েশিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় কোয়ালালামপুরে ২৪ থেকে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ স্কুল’। হোয়াইট ব্যাজ স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তাতে আইটিএফ কর্তৃক ‘হোয়াইট ব্যাজ রেফারি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। অফিসিয়েটিং স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন, উজবেকিস্তান, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চীন হতে ১৬ জন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেন। হোয়াইট ব্যাজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে মাসফিয়া আফরিন আইটিএফ এর ‘প্রজেক্ট : অফিসিয়েটিং পাথওয়ে’ এর আওতায় অফিসিয়েটিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারতের কোলকাতা ও দিল্লীতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন।

এই স্বীকৃতির ফলে আটিএফ এর অনুমোদিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করলেন মাসফিয়া আফরিন। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয় ২০০০ সালে ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ চেয়ার আম্পায়ার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে হোয়াইট ব্যাজ অর্জনের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় মাসফিয়া বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত হোয়াইট ব্যাজ রেফারি হতে পেরে স্বস্তি লাগছে। এটা শুধু আমার একার সাফল্য না। এই সাফল্য বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের। ভারতীয় রেফারি অভিষেক মুখার্জীকে ধন্যবাদ; যিনি আমাকে এ বিষয়ে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এটা পেতে।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *