যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছে মেক্সিকোর এক শহরে অপরাধী দলের সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে পুলিশে দুই দিনব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার ও রোববার ১৪ বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে বলে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কোয়াহুইলার সরকার জানিয়েছে। শনিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী ছোট শহর ভিয়া য়ুনিয়নে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের বড় ধরনের লড়াই শুরু হয়। এ লড়াইয়ে অপরাধী দলের ১৭ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। লড়াইয়ে চার পুলিশও নিহত হয়। পরে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত দুই বেসামরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। অনেকগুলো পিকআপের একটি বহর নিয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারীরা ভিয়া য়ুনিয়ন শহরটিতে চড়াও হয়। শহরের মেয়রের দপ্তর গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় তারা।
এরপর শহরের রাস্তায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে পুলিশের দেড় ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি বিনিময় হয়। বন্দুকযুদ্ধে ৬০ জনেরও বেশি বন্দুকধারী অংশ নিয়েছে এবং তাদের ১৭টি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে বলে কোয়াহুইলার সরকার জানিয়েছে। শহর ছেড়ে পালানোর সময় পুলিশ পিঁছু ধাওয়া করে আরও কয়েকজন বন্দুকধারীকে হত্যা করে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তামাউলিপাস রাজ্যের অপরাধী দলের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা ভিডিও ক্লিপের বরাতে রয়টার্স জানায়, প্রায় মধ্য দুপুরে ভিয়া য়ুনিয়নে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয় আর সশস্ত্র পিক আপ ট্রাকের একটি বহরকে শহরজুড়ে ঘুরতে দেখা যায়। অন্য ভিডিওগুলোতে শহরটি থেকে ধোঁয়ার কু-ুলি উঠতে দেখা যায়। মেক্সিকোর অপরাধী দলগুলোকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকভুক্ত করা হতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটলো। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর তার দেশের সহিংস অপরাধী দলগুলোর মোকাবিলায় বিদেশি হস্তক্ষেপের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন।