Last Updated on মার্চ ১৪, ২০২৫ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের দামে স্বস্তি নেই, ঊর্ধ্বমুখি দেশী মুরগি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের দামে স্বস্তি নেই মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের। স্বস্তি নেই সয়াবিন তেলের দামেও। অন্যান্য মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশী মুরগির দাম প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে কিছু কিছু শীতের সবজি এরই মধ্যে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তবে দাম অনেক চড়া।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আটাশ ধানের চাল প্রতি কেজি ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকা, পাইজাম ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিনিকেড ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা।
নিউমার্কেটের আব্দুর রহমান বাবু জানান, জিরাসাইল চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫ টাকা। সাদা স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২ টাকা বেড়ে ৫০-৫২ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫৪-৫৫ টাকা, ৬৩ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে থেকে ৭৫-৭৬ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১১০-১৩০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৪০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৭০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ টাকা। তিনি জানান, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন ২০০ টাকা থেকে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে কম আসছে শীতের সবজি। শিম ও ঘিওন বেগুন এরই মধ্যে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ জানান, পাতাকপি ১০ টাকা পিস, ফুলকপি ১৫-২০ কেজি, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকা, আলু ২২ টাকা, গ্রীষ্মকালীন সবজি সজনে ডাটা ২০০ টাকা, দেশী করোলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, কাঁচকলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা ও কুমড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৮০ টাকা। আর এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, নদীর ছোট ট্যাংরা ৮০০-১০০০ টাকা, ভাঙন ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, পাবদা ৩৬০ টাকা, সিং ৪০০-১০০০ টাকা, শোল ৭০০ টাকা, রুই ওজনভেদে ২২০-৩৫০ টাকা, কাতলও প্রায় একই রকম দাম, জাপানি রুই ২৬০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ টাকা, ব্রিগহেড ৩২০ টাকা, গ্রাসকার্প ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা জিলহাজ ও শরিফুল জানান, দেশী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৬০ টাকা, প্যারেন্স মুরগি ৩১০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০-১৯০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস ৯০০ ও বকরির মাংস ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।