শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মার্চ ৭, ২০২৫ by

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের দামে হেরফের নেই, বেড়েছে দেশী মুরগির দাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। খোলা সয়াবিন প্রায় ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বোতলজাত এই তেল বাজারে কম দেখা গেছে। সাড়ে ৪০০ টাকা কেজির দেশী মুরগি রমজানের শুরুতে হঠাৎ করেই ৬০০ টাকায় উঠলেও বর্তমানে সাড়ে ৫০০ টাকায় নেমেছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আটাশ ধানের চাল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, পাইজাম ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৮২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নিউমার্কেটের জিয়াউর রহমান ও আব্দুর রহমান বাবু জানান, জিরাসাইল চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-৮২ টাকা। সাদা স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫৪-৫৫ টাকা, ৬৩ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১১০-১৩০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৪০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৭০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০-৪২ টাকা।
তারা আরো জানান, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৯৬ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে কম আসছে শীতের সবজি। ঘিওন বেগুন এরই মধ্যে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। সবজি বিক্রেতা তাইফুর রহমান জানান, দেশী ইরি বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ২০-৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, করোলা ১২০ টাকা, ভারতীয় সজিনা ২২০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, গাজর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৩৫-৪০ টাকা ও কুমড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৮০ টাকা।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, নদীর ছোট পুঁটি ১০০ টাকা, চাষের পুঁটি ৩০০ টাকা, ট্যাংরা ৮০০-১০০০ টাকা, ভাঙন ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, পাবদা ৩৬০ টাকা, নদীর রাইখড় ৩৮০-৫২০ টাকা, সিং ৩৫০ টাকা, গোটি ৪৮০ টাকা, কৈ ৩০০ টাকা, শোল ৬৫০ টাকা, রুই ওজন ভেদে ২২০-৩৫০ টাকা, কাতলও প্রায় একই রকম দাম, বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০ টাকা, জাপানি রুই ৩০০ টাকা, চিতল ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল আলম জানান, রমজানের শুরুতে দেশী মুরগির দাম ৬০০ টাকায় উঠেছিল। তবে আজ (গতকাল শুক্রবার) ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি। সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৪০-২৫০ টাকা, প্যারেন্স মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০-১৯০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ ও বকরির মাংস ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে।

About The Author

শেয়ার করুন