Last Updated on জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ by
৬ শিক্ষার্থী পেলেন প্রফেসর তরিকুল ইসলাম বৃত্তি : বাবুডাইংয়ে পাঠাগার উদ্বোধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’র উদ্যোগে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ৬ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। শনিবার বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’র আহ্বায়ক প্রফেসর সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- নবাবগঞ্জ সকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তৌহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম ভোতা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রফেসর আলমগীর স্বপন, বালুগ্রাম আদর্শ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক রজব আলী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহ আলম, ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’র সদস্য রফিক হাসান বাবলু, ডা. আনোয়ার জাহিদ রুবেন।
পরে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত তিনজন করে ৬ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেয়া হয়।
অনুষ্ঠান শেষে স্মরণ পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় গড়ে তোলা ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার’র উদ্বোধন করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর তরিকুল ইসলাম ২০১৪ সালের আগস্টে রাজশাহী মহানগরীর ছোট বনগ্রাম প্রফেসরপাড়ার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের হাতনাবাদে প্রফেসর তরিকুল ইসলামের নিজ গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
প্রফেসর তরিকুল ইসলাম ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এরপর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ডায়াবেটিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক হিসেবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের একাধিক বইয়ের রচয়িতা ছিলেন তিনি।