শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on অক্টোবর ২, ২০২৪ by

৬৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০০০০ মে. টন সার আমদানি করা হবে

চলতি অর্থবছরে সৌদি আরব, মরক্কো ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি সাবিক দ্বিতীয় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বান্ধ গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস.এ. মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এস.এ. মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটের ৩০ মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৫.০০ মার্কিন ডলার।
সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা আদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় দশম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৮১.০০ মার্কিন ডলার। এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ম প্যাকেজের লট-০২ (নেত্রকোনা (১০০০০ মেট্রিক টন), ময়মনসিংহ (২৫০০০ মেট্রিক টন))-এর ২টি সাইটের নির্মাণ কাজ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম)তে বাস্তবায়নের জন্য ক্রয়ের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুন