৫০ সদস্যকে চার হাজার গাছের চারা দিল প্রয়াস

43

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চার হাজার আমের চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রমোটিং এগ্রিকালচারাল কমার্সিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস (পেস) প্রকল্পের ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আয়বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে আম ও অন্যান্য ফল শুষ্ককরণ ও বাজারজাতকরণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন’ শীর্ষক ভ্যালুচেইন উপপ্রকল্পের আওতায় নিরাপদ পদ্ধতিতে সারাবছর চাষ উপযোগী ও ইন্ডাস্ট্রি গ্রেডেড জাতের আমচাষ সম্প্রসারণের লক্ষে আমের চারাসহ উপকরণগুলো বিতরণ করা হয়।
বুধবার সকালে প্রয়াসের প্রধান কার্যালয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন। সূচনা বক্তব্য দেন প্রয়াসের সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক মু. তাকিউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি সাজ্জাদ হোসেন কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে প্রয়াসের কল্যাণে এগিয়ে আসছেন এবং প্রয়াসের কৃষিবিদগণ আপনাদেরকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা সত্যি গর্বের। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে এখনো আম পাওয়া যাচ্ছে তা সত্যি আনন্দের। মৌসুুমের পরেও যে আম পাওয়া যায় তা এখানে এসে আমি জানতে পারলাম। মৌসুুমের বাইরে একটা আম আপনাকে যে মানসিক প্রশান্তি দিবে তা কিন্তু মৌসুুমে দিতে পারবে না।
প্রয়াস বারো মাস আম উৎপাদনের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে উল্লেখ করে এই ধরনের কার্যক্রম আগামীতে আরো নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই প্রান্তিক জনপদের মানুষ ভালো থাকুক এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাক আমাদের প্রিয় বাংলাদেশÑ এটাই প্রত্যাশা করি। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে এ দেশ স্বধীন করেছেন। সেই বাংলাদেশকে সমনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করুক প্রয়াস ও হাসিব হোসেনের মতো আলোকিত মানুষেরা। তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য কাজ করে তারা সারাজীবন মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকে। প্রয়াস এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাক এবং এই ধরনের কাজ আরো ত্বরান্বিত হোক।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিব হোসেন কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার কন্ট্রিবিউশন এবং আপনার বিবেকের জায়গাগুলো যখন পরিস্ফুটিত হবে তখন আমরা একটা ভালো, সভ্য ও উন্নত জাতিতে পরিণত হবো। তাই আপনাদের কাজগুলোকে আমরা সবাই সংগঠিত করার চেষ্টা করছি। এখানে আপনারা সফল হলেই আমরা সফল হবো। তিনি বলেন, সব আম যখন একসাথে পাওয়া যায় তখন দাম কম পাওয়া যায়, সেইজন্য সেই আমটাকে আপনি পাউডার করে স্লাইস করে বিক্রি করবেন, তখন বেশি দাম পাবেন। এজন্য প্রত্যেকটি কাজকে একটু মেকানাইজ করতে হবে।
হাসিব হোসেন বলেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে কৃষির কাজটা আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি আমরা কাজ করছি। আপনার ভালো কর্মের জন্য আপনাকে সবাই মনে রাখবে। সবাইকে ভালো কাজের মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় এই প্রকল্পের আওতায় প্রয়াসের ৫০ জন সদস্যকে গৌড়মতি, কাটিমন, বারি-৪ আমের চারা, ভার্মি কম্পোস্ট, স্প্রে মেশিন, নিম সার, ডুয়েল কীটনাশক, আইসোজেব ছত্রাকনাশক, সাইনবোর্ড প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক গৌড় বাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আজিজুর রহমান শিশির, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, মাইনুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, নয়ন আলী, এসইপি প্রকল্পের ডকুমেন্টেশন অফিসার মনজিলা আক্তার সুমিসহ আরো অনেকে।