Last Updated on জুলাই ২, ২০২৪ by
৩ পেনাল্টি ঠেকিয়ে যা বললেন কস্তা
বাম দিকে ঝাঁপিয়ে প্রথমটি, পরের দুটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে। দিয়োগো কস্তার তিন লাফে শেষ স্লোভেনিয়ার কোয়ার্টার-ফাইনাল স্বপ্ন। পরে জয় নিশ্চিত করা শট নিয়েই ম্যাচের নায়ক কস্তার কোলে চড়ে বসলেন বের্নার্দো সিলভা। একে একে ছুটে এলেন বাকিরাও। আক্রমণভাগের হতাশার ম্যাচে পর্তুগালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশা বাঁচিয়ে রাখেন কস্তাই। শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকানোর রেকর্ড গড়ে তিনি বলেন, এটিই ছিল জীবনের সেরা ম্যাচ। ফ্রাঙ্কফুর্টে সোমবার রাতে মূল ম্যাচেই জিততে পারত পর্তুগাল। বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, ব্রুনো ফের্নান্দেসরা। ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রোনালদো। এরপর উল্টো হেরে যাওয়ার শঙ্কা জেঁকে বসে পর্তুগিজদের। ম্যাচের ১১৫তম মিনিটে পেপের মারাত্মক ভুলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান সেসকো। কিছুটা এগিয়ে বাম পা ছড়িয়ে দিয়ে সে যাত্রায় দলকে উদ্ধার করেন পোর্তো গোলরক্ষক কস্তা। পরে টাইব্রেকারে তো কস্তাই রাজা। সহজাত প্রবৃত্তি কাজে লাগিয়ে পরপর ৩টি শট ঠেকিয়ে তিনি সহজ করে দেন দলের কাজ। ইউরোতে টাইব্রেকারে ৩টি শট ঠেকানো প্রথম গোলরক্ষক তিনি। ম্যাচ শেষে তাই কস্তার আনন্দ যেন বাঁধ মানে না। ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করেন ২৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক। “আমি মনে করি, এটিই আমার জীবনের সেরা ম্যাচ ছিল। এমন একটি ম্যাচ, যেখানে আমিই সবচেয়ে কার্যকর ছিলাম। দলকে সাহায্য করতে পেরে আমি অনেক অনেক খুশি ও রোমাঞ্চিত।” কস্তার নৈপুণ্যে স্লোভেনিয়া-বাধা পার করার পর এবার আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পর্তুগাল। আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।