২৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

7

২ হাজার ৭৩০টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৯৫টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৯৩টি কলেজ, ৫৬টি ডিগ্রি কলেজ, ৫৫৭টি মাদ্রাসা এবং ৫২২টি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউশন রয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়ে এর নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সকল নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে।’ ‘কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সাথে সাথে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিওভুক্তি হয়ে গেছে- বেতন তো পাবই, ক্লাশ করানোর দরকার কি, পড়ানোর দরকার কি, এ চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে নতুন করে এমপিও’র তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯ বছর পর নতুন করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির ঘোষণা দেয়া হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে নতুন করে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এপিওভুক্ত করলাম। একটি নীতিমালা করে নিয়ে যাচাই বাছাই করে তারপর এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের নীতিমালার যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে, যারা সেই নির্দেশনাগুলো পুরণ করতে পারবেন এবং সেই স্কুলগুলো যেগুলোর আসলে প্রয়োজন আছে সেটা বিবেচনা করেই আমরা এমপিওভুক্ত করব। কাজেই যারাই এমপিওভুক্তি চান তাদের এই নিদেশনা মানতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা করে দিচ্ছি ঠিকই কিন্তু ওই নীতিমালাগুলো পূর্ণ করতে হবে এবং সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। যদি এমপিওভুক্তির এই সুযোগটাকে অব্যাহত রাখতে চান।’
২ হাজার ৭৩০টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩৯টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৯৫টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৯৩টি কলেজ, ৫৬টি ডিগ্রি কলেজ, ৫৫৭টি মাদ্রাসা এবং ৫২২টি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউশন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি ধন্যবাদ এবং এমপিওভুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা ছিল। আমরা এই নিয়ে অনেক দিন থেকেই কাজ করছি। সবাই মিলে কাজ করে একটা তালিকাভুক্ত করে আজ এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে পারলাম।’
‘যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে শিক্ষার সঠিক মানটা আর বজায় থাকে না,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচণ্ড একটা দাবি ছিল এমপিওভুক্তকরণের, আর এজন্য শিক্ষকরা আন্দোলনও করেছেন। তখন আমরা বলেছি আমরা সবই করব। কিন্তু একটা নীতিমালার ভিত্তিতে করব।’ তিনি বলেন, শিক্ষাকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেই বলেই একে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে করতে চেয়েছে সরকার। যাতে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে, এই নীতিমালা ঠিক করে একে যাচাই বাছাই করে তালিকাটা করতে একটু সময় লেগে যায়। তিনি বলেন, তার সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, দেশের বাজেট বৃদ্ধি করে শিক্ষা খাতে সর্বাধিক ব্যয় বরাদ্দ করেছে, যাতে করে শিক্ষাকে আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত করে যুগের চাহিদা মোতাবেক প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা যায়।