Last Updated on নভেম্বর ৭, ২০২৪ by
২৭তম বিসিএসে বাদ পড়া ১১৩৭ জনের আপিল শুনানি ৪ ডিসেম্বর
২৭তম বিসিএসের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়া ১ হাজার ১৩৭ জনের আপিল শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আপিল বিভাগের রায়ের ১৪ বছর পর রিভিউ পর্যায়ে লিভ টু আপিলে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত এই তারিখ দেন।
আদালতে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী সালাউদ্দীন দোলন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
এই আদেশের ফলে ২৭তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ১১৩৭ জনের ভাগ্য নির্ধারণী আপিল শুনানির দুয়ার খুলল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ ক’জন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। পরবর্তীতে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন। সে রায়ে ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।