বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on এপ্রিল ১৭, ২০২৫ by

১ মে থেকে ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষণা

ডিম ও মুরগির উৎপাদন ও দামে করপোরেট কারসাজির অভিযোগ এনে আগামী ১ মে থেকে দেশের সকল প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ সিদ্ধান্ত জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত দুই মাসে প্রান্তিক খামারিরা ডিম ও মুরগি খাতে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন। শুধু রমজান ও ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা করে লোকসান হয়েছে ৯০০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া প্রতিদিন উৎপাদিত ৪ কোটি ডিমের মধ্যে ৩ কোটি ডিম প্রান্তিক খামারিরা সরবরাহ করেন, যেখানে প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসান দিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আরো ৩৬০ কোটি টাকায়।
তিনি অভিযোগ করেন, করপোরেট কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু খাবার, বাচ্চা ও ওষুধই নয়, ডিম ও মুরগির বাজারের দামও তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এতে খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন লোকসানে উৎপাদন চালিয়ে যেতে বা ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’য়ের শর্ত মেনে নিতে।
সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা করপোরেট দাসত্ব মানব না। যতদিন না সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, ততদিন এই কর্মসূচি চলবে। তিনি আরো জানান, ঈদের আগে ২৮-৩০ টাকায় উৎপাদিত বাচ্চা করপোরেট কোম্পানিগুলো ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করেছে। এখন সেই বাচ্চার দাম নেমে এসেছে ৩০-৩৫ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ১৬০-১৭০ টাকা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। একইভাবে, ১০-১০.৫০ টাকায় উৎপাদিত ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮-৮.৫০ টাকায়, যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুন