হেলমেট পরে মাঠে, ‘ইতিহাস’ গড়লেন আম্পায়ার

110

01-Aus

কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল দৃশ্যটাÑআম্পায়ার নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন হেলমেট পরে। কিন্তু দৃশ্যটা যে খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে, সেটা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। ক্যানবেরায় আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে হেলমেট পরে দায়িত্ব পালন করে ‘ইতিহাস’ গড়লেন অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার জন ওয়ার্ড। এর আগে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো আম্পায়ারই হেলমেট পরে দায়িত্ব পালন করেননি।
গত বছর নভেম্বরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে মাথায় বলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ফিলিপ হিউজ। গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া সেই মৃত্যুর পরপরই ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সামনে চলে আসে। হিউজের মৃত্যুর পরপরই ভারতের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ক্রিকেটার অঙ্কিতের দুঃখজনক মৃত্যু একইভাবে নাড়া দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে। গত এক বছরে এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আম্পায়ার ওয়ার্ড যদি ক্রিকেটের দীর্ঘ ঐতিহ্য ভেঙে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেলমেট ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না।
ওয়ার্ড অবশ্য হেলমেট পরেছেন নিজের এক বাজে অভিজ্ঞতা থেকেই। গত ডিসেম্বরে ভারত ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে আম্পায়ার বিনিময় কর্মসূচির আওতায় রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচ পরিচালনা করতে ভারত এসেছিলেন। সেখানে পাঞ্জাব আর তামিলনাড়ু ম্যাচে মাথায় বলের আঘাত পেয়ে একটুর জন্য বেঁচে গেছেন। আজ মানুকা ওভালে যখন খেলা পরিচালনা করতে নামছেন, তার আগে নিশ্চয়ই রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি মাথায় ছিল। ক্রিকেটডটকমডটএইউকে সেটাই বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমি অল্পের বেঁচে গিয়েছি। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা মাথায় থাকাটাই তো স্বাভাবিক।’
যে ম্যাচে হেলমেট পরে এসে ইতিহাস গড়লেন ওয়ার্ড, সে ম্যাচেই অ্যারন ফিঞ্চের একটি শটে পায়ের হাড়ে আঘাত পেয়ে চিকিৎসা নিতে হয়ে তাঁর সতীর্থ ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরোকে। ফিঞ্চের সেই দ্রুতগতির ড্রাইভটি বোলার ইশান্ত শর্মার হাতে লেগে কেটেলবরোর পায়ে লাগে। প্রথম দিকে তিনি ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭ ওভার পর ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে চিকিৎসা নিতে মাঠের বাইরে যেতে হয়।
এরপর না হেলমেটের পাশাপাশি প্যাড-ট্যাড পরেও মাঠে নামতে হয় আম্পায়ারদের!