চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বুধবার বৃষ্টি হয়েছে। জেলায় গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৬ মিলিমিটার। তবে বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এতে বোরোধান ও আমসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি অফিস বলছে, শিলার সাইজ ছোট হওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।
সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান- তারা পারিবারিকভাবে ১২ বিঘা জমিতে বোরোধান ও ৩ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। বুধবারের শিলায় সব ধান নষ্ট হয়েছে এবং গাছসহ কলাও নষ্ট হয়ে গেছে। সব শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, নারায়ণপুর ও পার্শ্ববর্তী পাঁকা ইউনিয়নে শিলা বেশি পড়েছে। তবে নারায়ণপুর ইউনিয়নে বেশি হয়েছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, নারায়ণপুর ইউনিয়নে পাকা ও আধাপাকা মিলিয়ে ধানের ক্ষতি হয়েছে ২৫০ হেক্টর। তার মধ্যে ২০০ হেক্টর সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৫ হেক্টর করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, জেলার সদর উপজেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ৫ মিলিমিটার, সেই সঙ্গে নারায়ণপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে শিবগঞ্জে গড় বৃষ্টি হয়েছে ৫ মিলিমিটার। শিলাও হয়েছে। অন্যদিকে গোমস্তাপুর ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টি হয়নি। নাচোল উপজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮ মিলিমিটার। সেই সঙ্গে নাচোল পৌর এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলায় বৃষ্টি ৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মুশরিভুজা ব্লকে শিলা হয়েছে। জেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ৫.৬ মিলিমিটার। এই শিলাবৃষ্টিতে ফসলের বেশি ক্ষতি হবে না বলে তিনি জানান।