সবগুলো ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ কোনোভাবেই পেতে চান না সৌম্য সরকার। তার বিশ্বাস, একটা জয় নিয়ে ফেরা সম্ভব। ২০ রানে হারা প্রথম টি-টোয়েন্টি থেকে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস, দক্ষিণ আফ্রিকায় হারের বৃত্ত ভাঙা সম্ভব। গত বছর ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে সব ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় তার পুনরাবৃত্তির শঙ্কা। দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছে অতিথিরা। পচেফস্ট্রুমে রোববার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই ম্যাচে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে উন্মুখ সৌম্য।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা দুইশর মতো রান করেছে। আমরা ১৭৫ রান করেছি। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য আছে পুরোটা যাওয়ার। মাঝখানে যদি একজন ব্যাটসম্যান রান পেত আমরা হয়তো সহজেই ম্যাচটা জিতে যেতাম। এখান থেকে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে, আমরা দুইশ রান করতে পারি। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ডট বল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২২টি ডট বলের বিপরীতে অতিথিদের ডট বল ৪৫টি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে চার-ছক্কা থেকে এসেছে ৮৮ রান, বাংলাদেশের ইনিংসে ৯৮। আরও একবার চড়া দামে অতিথিরা জেনেছে ১-২ রান কত গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচে এদিকে নজর দেওয়ার কথা জানান বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ডট বল তো টি-টোয়েন্টিতে বড় একটা ব্যাপার। কিন্তু তার আগে আমরা যখন ফিল্ডিং করেছি, রান আরও কম দিতে পারলে ভালো হত। কিছু বল ওয়াইড হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে একটা-দুইটা মিস হয়েছে। ওই রানগুলো যদি আমরা না দিতাম তখন দেখা যেত আরও ২০টা রান কম হত। ওদের রান থাকত ১৭০ এর মতো। ওই রান পেলে একটা আলাদা মনোবল থাকত। ডট বল হয়েছে, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো না। পরের ম্যাচে যদি ডট বল কমাতে পারি তাহলে রান আরও বেশি হবে।