বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি মৃত্যু হার কমাতে পারে না বলে গবেষণা থেকে জানা গেছে।
ম্যালেরিয়া ও আর্থাইটিস চিকিৎসায় কয়েক দশক ধরে ওষুধটি প্রয়োগ করা হচ্ছিল। সম্প্রতি ওষুধটি রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বের নেতৃস্থানীয় কেউ কেউ করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি কর্মসূচির ডা. আনা মারিয়া হেনাও রেস্টরেপো জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন দেশে সম্ভাব্য চিকিৎসার যে সলিডারিটি ট্রায়াল চলছে সেখান থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সলিডারিটি কিংবা ডিসকভারি ট্রায়ালের অভ্যন্তরীণ প্রমাণ ও রিকভারি ট্রায়ালের বাহ্যিক প্রমাণ এবং আরো যেসব পরীক্ষা হয়েছে সেসব প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুহার হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কমাতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, এইসব বিচার বিশ্লেষণের পাশাপাশি প্রকাশিত যেসব প্রমাণ রয়েছে সেসবের ভিত্তিতে সলিডারিটি/রিকভারি ট্রায়ালের নির্বাহী গ্রুপের দুই বারের বৈঠক এবং মূল গবেষকদের সাথে আমাদের বৈঠকের পর হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। মেডিকেল জার্নাল দ্য লানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এটি মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়। কিন্তু জুনের প্রথমদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুনরায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দেয়।
এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন বাতিল করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুটি ওষুধই করোনা রোগীদের সেবনের পক্ষে।