Last Updated on অক্টোবর ১, ২০২৪ by
হর্ন বাজানোর অভ্যাস পরিবর্তনে মানুষকে সচেতন করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হর্ন বাজানোর দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষকে সচেতন করা হবে। এরপর আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, কাজটি শুরু করাই সফলতা। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে।
উপদেষ্টা মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে যানবাহনে হর্ন বাজানো বন্ধ করার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমার গাড়িতে হর্ন বাজানো হয় না। আশা করি, সবাই চালকদের হর্ন না বাজাতে উৎসাহিত করবেন। তিনি বলেন, লাইসেন্স নবায়নের শর্ত হিসেবে হর্ন বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। প্রথমবার আইন ভঙ্গ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা কার্যকর করা হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্নায়ুরোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঢাকায় যানবাহনের হর্নের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমছে। তাই ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচি শব্দদূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই উদ্যোগ সফল করতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি দেশের অন্য এলাকাতেও বাস্তবায়িত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ^াস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পরিবেশ উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা গ্রিন ভয়েস, ক্যাপসসহ শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।