সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাটিং করলেন ওয়ানডে মেজাজে। আগের দিন জমজমাট লড়াই উপহার দেয়া ম্যাচের শেষটা তাই হয়ে গেল একপেশে। ১০৮ রান করতে শেষদিনে খুলনার হাতে ছিল পুরো ৯০ ওভার ও ৯ উইকেট। তবে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে প্রথম সেশনেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে আবদুর রাজ্জাকের দল। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। ১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৯ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন সৌম্য। এবারের লিগে এটিই তাদের প্রথম জয়। দলের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংস খেলে খুলনার কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের খেলায় ১ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্বাগতিক দল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও সৌম্য শুরুর কয়েক ওভার কাটিয়ে দেন দেখেশুনে। মোহর শেখের বলে দিনের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য। অন্যপ্রান্তে ইমরুলও হাত খোলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু মোহরকে চার মারার পরের বলেই দিয়ে আসেন উইকেট।
২২ রানের ইনিংসে ছিল চারটি চার। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য আর মিঠুন মিলে রাজশাহীর বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ১০.১ ওভারে এই জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৬৬ রান। মোহরকে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন মিঠুন। এরপর তার ব্যাট থেকে চার এসেছে আরও চারটি, সবগুলোই তাইজুল ইসলামের বলে। ৩২ বলে ২৭ রান করা মিঠুনকে ফেরান সানজামুল ইসলাম। খুলনার সংগ্রহ তখন ১০৩। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন সৌম্য। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি করে ছক্কা ও চার। জাতীয় লিগের গত আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭১ রান করা সৌম্যর এবারের আসরে এটি প্রথম ফিফটি। সানজামুলকে টানা দুটি চার মারার পরের ওভারে মিজানুর রহমানের বলে তিন রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে বল হাতে আলো ছড়ানো এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। দুই ম্যাচে এক জয় ও ড্রতে ১৩.৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে খুলনা। তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আগামি বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগের মুখোমুখি হবে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১
খুলনা ১ম ইনিংস: ৩০৯
রাজশাহী ২য় ইনিংস: ১৭০
খুলনা ২য় ইনিংস: ২২.১ ওভারে ১২৩/৩ (এনামুল ৪, সৌম্য ৫০*, ইমরুল ২২, মিঠুন ২৭, মিরাজ ১৪*; শফিউল ৫-১-১৫-১, ফরহাদ রেজা ১-০-৪-০, মোহর ৫-১-৩০-১, তাইজুল ৬-১-৪০-০, শান্ত ২-০-৫-০, সানজামুল ৩-০-২০-১, মিজানুর ০.১-০-৩-০)
ফল: খুলনা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নুরুল হাসান সোহান (খুলনা)