সোমালিয়ার এক যাত্রীবাহী বিমানে বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার পর তা জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে। কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে অসমর্থিত সূত্রের বরাতে গার্ডিয়ানের খবরে একজনের নিহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ও আগুন লাগায় বিমানটির বাইরের কাঠামোতে গর্ত তৈরী হয়। বিমানের পাইলটের ধারণা, বিমানটিতে বোমা ছিলো। তবে তৈরী হওয়া গর্তের ছবি দেখে একজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কোনো ডিভাইস বিস্ফোরণের কারণে এমনটি হয়েছে। দাল্লো এয়ারলাইন্সের বিমানটির পাইলট ভøাদিমির ভোডোপিভেক বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম বোমার বিস্ফোরণ, তবে ফ্লাইটে কোন সমস্যা হয়নি। নিরাপদে অবতরণ করা সম্ভব হয়েছে।’ আর বিমানটিতে থাকা জাতিসংঘে সোমালিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত আওয়ালে কুলানে বলেছেন, তিনি একটি শব্দ শুনেছেন ও ধোঁয়া দেখেছেন। এর বাইরে কোন সমস্যা হয়নি। বিস্ফোরণে আগুন ধরে বিমানটির বাইরের কাঠামোতে গর্ত তৈরি হয়। ফলে পাইলট বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিকে মোগাদিসুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন। সোমালিয়ার অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, সোমালিয়া থেকে জিবুতিমুখি বিমানটিতে মোট ৭৪ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। বাকিরা সবাই নিরাপদ ছিলেন। তবে এক অসমর্থিত সূত্রের বরাতে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হাসান নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বালাদ শহরের স্থানীয় জনতা একজন বৃদ্ধ মানুষের মৃতদেহ পেয়েছেন, যিনি বিমান থেকে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান।