শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মে ১১, ২০২৫ by

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন : সাজাভোগ শেষে ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

রাজশাহী কারাগারে সাজাভোগ শেষে আরসালন হোসেন নামে এক ভারতীয় নাগরিককে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার সকালে সোনামসজিদ সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ জামিরুল ইসলাম ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরসালন হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিংয়ের ডাক্তার জাকির হোসাইন বস্তির মৃত হামিদ হোসাইনের ছেলে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশ ও রাজশাহী কারা কর্তপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের ২৯ নভেম্বর আরসালন হোসেনকে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী গ্রেপ্তার করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানা পুলিশ। পরদিন তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেন। সাজাভোগের পর দুই দেশের দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে আরসালন হোসেনকে ভারতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী  রবিবার তাকে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরসালন হোসেনকে ভারতে ফেরাতে সহযোগিতা করেন শামসুল হুদা নামে এক ব্যক্তি। শামসুল হুদা বাংলাদেশ ও ভারতে আটকেপড়া বন্দীদের দেশে ফেরাতে সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
শামসুল হুদা বলেন, আরসালন হোসেনের সাজায় মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় তার ভারতে ফেরা আটকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আরসালন হোসেনের ভাই ফয়সাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ভারতে ফেরাতে কাজ শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ও ছাড়পত্র পাওয়া যায় ২১ এপ্রিল। এরপর রাজশাহী কারাগার কর্তৃপক্ষ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে রবিবার আরসালনকে হস্তন্তর করা হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের অনুমোদনক্রমে আরসালন হোসেনকে ভারতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দ্রুত পক্রিয়া সম্পন্নের পর আজ রবিবার তাকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ জামিরুল ইসলাম বলেন, আরসালন হোসেনকে হস্তান্তরের সময় দুই দেশের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

About The Author

শেয়ার করুন