Last Updated on জুন ১৩, ২০২৪ by
সুপার এইট নিশ্চিত করলো ক্যারিবিয়ানরা
রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী ইনিংস ও জোসেফ-মোটির বোলিংয়ে সুপার এইটে ক্যারিবিয়ানরা। ৩০ রানে নেই ৫ উইকেট! ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দলকে একাই টানলেন শেরফেইন রাদারফোর্ড। তার বিধ্বংসী ফিফটিতে কোনোমতে দেড়শর কাছে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বল হাতে জ¦লে উঠলেন আলজারি জোসেফ ও গুডাকেশ মোটি। এই দুইজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিল ক্যারিবিয়ানরা। ত্রিনিদাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বৃহস্পতিবার ১৩ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৯ রানের পুঁজি গড়ে কিউইদের তারা থামিয়ে দিয়েছে ১৩৬ রানে। আসরে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচের সবকটি জেতা ক্যারিবিয়ানরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। দুই ম্যাচের দুটিই হারা নিউ জিল্যান্ডের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন রাদারফোর্ড। ছয় নম্বরে নেমে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৯ বলের বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান ৬টি ছক্কা ও দুটি চারে। দলটির ইনিংসে ২০ রানও করতে পারেননি আর কেউ। অবদান কম নয় জোসেফের। ৪ ওভারে ¯্রফে ১৯ রান দিয়ে এই পেসার নেন ৪ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার মোটির শিকার ২৫ রানে তিনটি। ম্যাচের শুরুটা সুখকর ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি দ্রুতই হারিয়ে ফেলে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। ষষ্ঠ বলে জনসন চার্লসকে বোল্ড করে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। ভালো শুরু করা নিকোলাস পুরানকে টিকতে দেননি টিম সাউদি। রোস্টন চেইস, রভম্যান পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিংও পারেননি হাল ধরতে। খাদের কিনারে থাকা দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা চালান রাদারফোর্ড। পরের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ছোটছোট তবে বেশ কার্যকর জুটি গড়ে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। ১৯তম ওভারে ড্যারিল মিচেলকে তিন ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড। পরে একটি সিঙ্গেল নিয়ে ওই ওভারেই ৩৩ বলে পূরণ করেন ফিফটি। ইনিংসের শেষ ওভারে বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারকে দুই চার ও এক ছক্কায় ওড়ান তিনি। শেষ দুই ওভারে রান আসে ১৯ ও ১৮। রান তাড়ায় নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন ডেভন কনওয়ে। ভালো শুরু পাওয়া ফিন অ্যালেনকে ইনিংস বড় করতে দেননি জোসেফ। নিজের পরপর তিন ওভারে কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রাভিন্দ্রা ও মিচেলকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন মোটি। এরপর কিছুক্ষণ লড়াই করেন গ্লেন ফিলিপস। কিউইদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪০ রান করার পথে ৩৩ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে ৩৩ রানের সমীকরণে শেফার্ডকে তিন ছক্কা মারেন স্যান্টনার। তাতে কেবল কমে হারের ব্যবধান। গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে, আগামী মঙ্গলবার। নিউ জিল্যান্ড পরের দুটি ম্যাচে খেলবে উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। সুপার এইটে যেতে হলে এই দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে তাদের। পাশাপাশি আশা করতে হবে আফগানিস্তান যেন বড় ব্যবধানে হারে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (কিং ৯, চার্লস ০, পুরান ১৭, চেইস ০, পাওয়েল ১, রাদারফোর্ড ৬৮*, আকিল ১৫, রাসেল ১৪, শেফার্ড ১৩, জোসেফ ৬, মোটি ০*; বোল্ট ৪-১-১৬-৩, সাউদি ৪-০-২১-২, ফার্গুসন ৪-০-২৭-২, নিশাম ৪-০-২৭-১, ফিলিপস ১-০-৯-০, স্যান্টনার ২-০-২৭-১, মিচেল ১-০-১৯-০)
নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৩৬/৯ (কনওয়ে ৫, অ্যালেন ২৬, রাভিন্দ্রা ১০, উইলিয়ামসন ১, মিচেল ১২, ফিলিপস ৪০, নিশাম ১০, স্যান্টনার ২১*, সাউদি ০, বোল্ট ৭, ফার্গুসন ০*; আকিল ৪-০-২১-১, শেফার্ড ৩-০-৩৬-০, রাসেল ৪-০-৩০-১, জোসেফ ৪-০-১৯-৪, মোটি ৪-০-২৫-৩, চেইস ১-০-৪-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শেরফেইন রাদারফোর্ড