সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে অভ্যন্তরীণ এবং প্রতিবেশী দেশেগুলোর শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া শিশুদের শিক্ষায় মারাত্মক বিচ্যুতি হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানি কন্যা ও নারী অধিকারকর্মী মালালা আহ্বান জানিয়েছেন, সিরীয় শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার জন্য আরো অনেক কিছু করতে হবে। মালালা ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রায় ৪০ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়েছে। মালালা বলেছেন, একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শিক্ষার অধিকার নিয়ে কথা বলায় মাতৃভূমি পাকিস্তানে তালেবানের হামলার শিকার মালালা সিরিয়ার সেই সব শিশুর কথা বলছেন, যারা যুদ্ধ ও জঙ্গিদের কারণে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। সিরিয়ায় বাল্যবিয়ের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। অথবা তারা খামার না হয় কলকারখানায় কাজ শুরু করেছে।
সিরিয়ায় অব্যাহত গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ সিরীয়রা। শিশুরাও দেশ ছাড়াছে পরিবারের সঙ্গে। এদের অধিকাংশের গন্তব্য হচ্ছে হয় প্রতিবেশী কোনো দেশে না হয় ইউরোপের কেনো দেশে। সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো দাতাগোষ্ঠীর ওপর চাপ দিচ্ছে, তারা যদি সিরিয়ার লোকদের স্থিতি চায় এবং ইউরোপে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চায়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে সিরীয়দের দেশ ছাড়া থেকে বিরত রাখা হয়তো সম্ভব হবে। মালালা বলেছেন, সব সিরীয় শিশুকে স্কুলে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি এখনই পূরণ করতে হবে বিশ্বকে। লন্ডনে অনুষ্ঠেয় শিক্ষা সম্মেলনে ১৮ বছর বয়সি মালালার সঙ্গে যোগ দেবে সিরীয় শরণার্থী শিশু মুজোন আমেল্লেহান (১৭)। আমেল্লেহান সিরীয় শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে মালালার সঙ্গে কাজ করছেন। মুজোনের পরিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।