শোকাবহ আগস্টে দেশে চলমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি ও বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে তিনটি পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ঢাকা মহানগরীতে টিসিবির ডিলারদের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্যাদি বিক্রয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
কমিশনারের কাছে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, শোকাবহ আগস্টে দেশে চলমান কোভিড-১৯ ও বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য সহনীয় রাখতে ১৭ আগস্ট থেকে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টিসিসির ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে কতিপয় পণ্য (চিনি, মসুর ডাল ও বোতলজাত সয়াবিন তেল) বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরীর সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সার্জেন্টদেরকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।
টিসিবি সূত্র জানায়, গত সোমবার থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রমে চলবে। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়, যা একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি কিনতে পারবেন। মসুর ডাল ৫০ টাকা কেজিতে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ এক কেজি নিতে পারবে। এছাড়া সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটারে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ লিটার নিতে পারবেন। শুক্র ও শনিবার বাদে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
দেশব্যাপী ২৭৭ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে সাতটি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৭টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে মোট ১০০টি ট্রাক থাকছে। অন্য জেলাগুলোতে প্রতিটিতে দুটি করে ১০৪টি এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলার জন্য পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত ৫টি করে মোট ৬০টি ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত জেলাসমূহে, যেমন- ময়মনসিংহে চারটি, রংপুরে চারটি, বগুড়ায় তিনটি এবং মাদারীপুরে অতিরিক্ত দুটি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।