রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের এবং বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এসময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকশ দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।
শিখা অনির্বাণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সৈনিকদের স্মৃতিকে জাতির জীবনে চির উজ্জ্বল রাখতে এই স্মৃতিস্তম্ভে সার্বক্ষণিক শিখা প্রজ্জ্বলন করে রাখা হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সেখানে কবর জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাও ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য ঠা-া মাথায় বঙ্গবন্ধু, তাঁর পতœী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও আত্মীয়স্বজনকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।