চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫ হাজার বিঘা জমির জন্য ৫ হাজার কৃষক পাচ্ছেন উচ্চ ফলনশীল আমন ধান বীজ ও রাসায়নিক সার।
চাঁপাইবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য পাবেন ৫ কেজি করে ধান বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য ১ হাজার ৫ জন কৃষক পাচ্ছেন ১ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল বীজসহ অন্যান্য উপকরণ। এরই মধ্যে আজ রবিবার জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে এবং সোমবার (আজ) সদর উপজেলার উপকারভোগী কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
গোমস্তাপুর প্রতিনিধি জানান, গোমস্তাপুরে চলতি আমন মৌসুমে সরকারের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ১ হাজার ৯০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা সভাকক্ষে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন।
পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১ হাজার ৫০০ কৃষক উফশী রোপা ধান বীজ এবং ৪০০ কৃষক পেঁয়াজের বীজসহ রাসায়নিক সার ও অন্যান্য উপকরণ পাবেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেনÑ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহু, উপজেলা প্রেসক ¬াবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাওসার আলি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাসহ উপকারভোগী কৃষক।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) রোপা আমন ধান ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে এই ১ হাজার ৯০০ জন কৃষক সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা পাচ্ছেন। এর মধ্যে রোপা আমন চাষাবাদের জন্য একজন কৃষক পাচ্ছেন পাঁচ কেজি ধানবীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং পেঁয়াজ চাষের জন্য এক কেজি বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সারসহ অন্যান্য উপকরণ। এছাড়া প্রত্যেক কৃষক চাষ ও সেচের জন্য ২ হাজার ৮০০ টাকা করে পাবেন। এই টাকা কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।