শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on আগস্ট ২২, ২০২৪ by

সব মুসলমানের জন্য দোয়া করবেন যেভাবে

ইসলাম মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। গায়ের রং, ভাষা ও দেশ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা পরস্পর ভাই ভাই। আর ভাইয়ের প্রতি কল্যাণকামী মনোভাব রাখা অন্য ভাইয়ের কর্তব্য। অন্য ভাইয়ের জন্য কল্যাণ কামনার একটি দিক হলো তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা। যেমন-পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে, হে আমাদের রব! আমাদের এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভাইদের ক্ষমা করুন। আর মুমিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের রব! আপনি তো দয়ালু, পরম দয়ালু।’ (সুরা : হাশর, আয়াত : ১০) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে প্রত্যেক মুসলমানের বিপরীতে একটি করে সওয়াব মহান আল্লাহ তার আমলনামায় লিখে দেন।’ (তাবরানি : ৩/২৩৪)। শায়খ আলবানি (রহ.) হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। এ হাদিসের মূল কথা হলো যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, ওই ব্যক্তি প্রত্যেক মুসলিমের বিপরীতে একটি করে সওয়াব পাবে। কেউ যদি এটা বলে দোয়া করে যে হে আল্লাহ! আমার ও সব মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, জীবিত ও মৃত-সবার গুনাহ আপনি মাফ করে দিন, তাহলে এর প্রতিদান হিসেবে আদম (আ.) থেকে কিয়ামত পর্যন্ত, এই দুনিয়ায় বসবাসকারী কোটি কোটি মুসলিম সবার জন্য একটি করে সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। প্রশ্ন হলো কিভাবে সব মুসলমানের জন্য দোয়া করব। পবিত্র কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-এর জবানে সব মুসলমানের জন্য দোয়া করার একটি নমুনা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে আছে : ‘রব্বানাগ-ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি-দাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’ অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং সব ঈমানদারকে আপনি সেই দিন ক্ষমা করে দিন, যেদিন হিসাব কায়েম করা হবে।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৪১) কাজেই কোরআনে বর্ণিত এই দোয়ার আলোকে আগের ও পরের সব মুসলমানের জন্য দোয়া করা যায়।

About The Author

শেয়ার করুন