সপ্তাহের বাজার দর : কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে দেশী মুরগির দাম, চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি মুরগির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ার কারণ বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১ টাকা এবং গমের খোলা আটার দাম বেড়েছে ২ টাকা। শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
আনোয়ার অটো রাইস মিলের শো-রুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল বলেন-৫০ কেজির এক বস্তা ২৮ চালের দাম গত সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৯৫০ টাকা (প্রতিকেজি ৫৯ টাকা)। বর্তমানে বস্তায় ৫০ টাকা বেশি। ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেড বা জিরা সাইল চালের দাম ছিল ৩ হাজার ৪৫০ টাকা (প্রতিকেজি ৬৯ টাকা)। বর্তমানে বেড়েছে ৫০ টাকা। তবে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা পাইজাম চালের দাম ২ হাজার ৯০০ টাকা (প্রতিকেজি ৫৮ টাকা) পাইকারী বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, গত সপ্তাহে কেনার কারণে চালের দাম আগের মতই রয়েছে। জিরাশাইল প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা, আটাশ ধানের চাল প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা, লাল স্বর্ণা ধানের চাল ৫৪ টাকা, সাদা স্বর্ণা ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, ডালের দাম আগের মতনই রয়েছে। মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশি ছোলার ডাল ১২৫ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২০-১২৫ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। খোলা গমের খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৬২ টাকা লিটার, চিনি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা এবং ভারতীয়টা ১০০-১০৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সবজি বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, কাঁচকলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, ডাটা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুমড়াজালি প্রতি পিস ৪৫ টাকা ও লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫০ টাকায়।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা আলম জানান, দেশি মুরগি গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা থাকলেও শুক্রবার সরবরাহ কম থাকায় কেজি প্রতি ৫০-৬০ বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকা দরে। অপর বিক্রেতা শরিফুল জানান, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকা, প্যারেন্স ৩০০-৩২০ টাকা, সোনালি ২২০-২৩০ সাদা লিয়ার ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপর দিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, রুই মাছ ও জনভেদে ২৪০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল মাছ ৩৬০ টাকা থেকে ৪৬০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা, দেশি ছোট চিংড়ি ১ হাজার টাকা, চাষের চিংড়ি ৮০০ টাকা, দেশী সিং ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে।