Last Updated on জানুয়ারি ৩, ২০২৫ by
সপ্তাহের বাজারদর সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চালের দামে নাভিশ্বাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চালের দামে নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সবচেয়ে চলা আটাশ জাতের চালটিই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকার ওপর। অন্যদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে ডাল, আটা-ময়দা, মাছ-মাংস গত সপ্তাহের মতোই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আটাশ চাল প্রতি কেজি ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭১-৭৩ টাকা, মিনিকেট ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৪ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৮০ টাকা, বাসমতি ১০৫ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫০ টাকা, সাদা স্বর্ণা ৫৬-৫৭ টাকা, আতপ চাল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। এদিকে দেশী পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, দেশী নতুন পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা তাইফুর রহমান জানান, শীতের সবজি বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম অনেকটাই কমে গেছে। ঘিওন বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ইরি বেগুন ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা, কলা ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, পাতাকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবদা ৩৬০-৪০০ টাকা, ট্যাংরা সাইজ ভেদে ৫২০-৯০০ টাকা, সিং ৬০০-৭২০ টাকা, আইড় সাইজ ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, বোয়াল ১ হাজার ৩৫০ টাকা, জাপানি রুই ১৫০-২৬০ টাকা, রুই ২০০ টাকা থেকে ওজন ভেদে ৮৫০ টাকা, কাতল মাছের দামও আগের মতোই।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ফুলকপিতে লোকসান গুনছেন কৃষকরা। কারণ, ফুলকপি উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার একভাগও দাম পাচ্ছে না তারা।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ও আলম ও জহুরুল জানান, শুক্রবার দেশী মুরগির দাম কমে বিক্রি হয়েছে ৪৪০ টাকা, সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকা, লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০-১৯০ টাকা, প্যারেন্স ৩৩০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা ও রাজহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে।