Last Updated on নভেম্বর ১৫, ২০২৪ by
সপ্তাহের বাজারদর : শীতের সবজি বাজারে তবু কমেনি দাম, আলু ও সয়াবিনের দাম ঊর্ধ্বমুখী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে এখন শীতের সবজিতে ভরপুর। তবু দাম কমেনি। অন্যদিকে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। কমেনি দেশী মুরগির দামও। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, চাল, ডাল, আটা, সবজি ও মাছ। তবে বেড়েছে সয়াবিনের দাম। পুরাতন বাজারে কয়েকজন ছোট মুদি দোকানদার জানান, সয়াবিনের দাম বাড়ানো হবে। তাই বাজারে ৫ লিটারের বোতল জাত সয়াবিন তেল সরবরাহ না থাকায় অনেকের ঘরেই নেই। তাছাড়া খোলা সয়াবিনের দাম বেশী হওয়ায় অনেকেই বোতল কেটে খোলা হিসেবে বিক্রি করছেন।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের পুরাতন বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
ভারতীয় সাদা পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১০৫-১১০ টাকা, লাল পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪৮ টাকায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটো রাইস মিলের শো-রুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, ২৮ চাল গত সপ্তাহের মতই প্রতিকেজি ৬৬ টাকা, জিরাসাইল ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা, নাজির সাইল ৮৪ টাকা ও বাঁশমতি ১০৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান জানান, প্রতি কেজি ২৮ চাল ৬২ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, জিরাসাইল ৭৫ টাকা, চিকন স্বর্ণা ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণ ৫০ টাকা, আতপ চাল ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ২০০-২১০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিকেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৪২ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তিনি জানান, ঘিয়ন বেগন ৯০-১০০ টাকা, সাধারণ বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ছিছিঙ্গা ৫০ টাকা, ফুলকপি হচ্ছে ৯০ টাকা, পাতা কপি ৫০ টাকা, শিম১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, দেশী করলা ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। রশিদ বলেন-আলুর দাম বেড়েই চলেছে হল্যান্ড আলু ৭৫ টাকা এবং দেশী আলূ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৪০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০-৭০ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুমড়াজালি ও লাউ প্রতি পিস ৪০-৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবতা ৩৬০ টাকা, ছোট বাইন ৬০০ টাকা, ছোট সিং ৭৮০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পিয়লি ৫২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৭০ টাকা, রুই ওজন ভেদে ২৩০-৪৫০ টাকা, কাতলও প্রায় একই দাম, সিলভর কার্প ১৫০ টাকা, বোয়াল ওজন ভেদে ৮০০ টাকা থেকে ১৩৫০ টাকা, আইড় ৮০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা, বাইন ১০০০ টাকা, চিংড়ি ৮৫০ টাকা, সবজি চিংড়ি ১০০০ টাকা, পাবতা ৪০০ টাকা, বাঁশট ৯০০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ও আলমসহ অন্যরা জানান, দেশী মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৪৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা, প্যারেন্স ৩০০-৩৫০ টাকা, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা, লাল লিয়ার ৩২০-৩৩০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৭০-২৮০ টাকা।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।