Last Updated on ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ by
সপ্তাহের বাজারদর : নাগালের মধ্যে এসেছে সবজি বেড়েই চলেছে চালের দাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি আরো বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যে নেমে এসেছে। এছাড়া ডাল, আটা, মাছ-মাংস গত সপ্তাহের মতোই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আঠাশ চাল প্রতি কেজি ২টা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট ২টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৮, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮৫, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, প্রতি কেজি আঠাশ চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা, মিনিকেড ৭৫-৮০ টাকা, বাসমতি ১০৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০-৫৭ টাকা, আতপ চাল ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। এদিকে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা তাইফুর রহমান জানান, শীতের সবজি বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমে গেছে। বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, নতুন আলু ৫৫-৬০ টাকা, কলা ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, পাতাকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবতা ৩৬০ টাকা, ট্যাংরা সাইজ ভেদে ৫২০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, সিং ৬০০ টাকা, আইড় সাইজ ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, ইটা ৬৫০ টাকা, ভাঙ্গন ২০০ টাকা, পুঁটি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা, সোল ১ হাজার ২০০ টাকা, ছোট ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ১ হাজার ৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ৩৫০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, জাপানি রুই ২৩০ টাকা, রুই ২৪০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল ২৬০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ও আলম জানান, গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। শুক্রবার দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪৬০-৪৭০ টাকা, সোনালি বা পাকিস্তানি ২৬০-২৭০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৮৫ টাকা, প্যারেন্স ৩৩০-৩৪০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংসা বিক্রেত শাহীন হানান, ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে।