রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ by

সপ্তাহের বাজারদর : চালের দামের হেরফের নেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে ভোক্তারা সবজি কিনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও চালের দামের হিমশিম খাচ্ছেন। মোটা চালই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। মধ্যবিত্তের পছন্দের চাল আটাশ, সেই আটাশ চালই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকায়। অন্যদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এছাড়া আটা-ময়দাসহ সব ধরনের ডাল, মাছ-মাংস গত সপ্তাহের দরেই বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আটাশ চাল প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭১ টাকা, মিনিকেট ৭৯ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ টাকা।
নিউমার্কেট মুদিবাজারের দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, প্রতি কেজি আটাশ চাল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮২ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫৫ টাকা, সাদা স্বর্ণা ৫০ টাকা, নতুন আতপ চাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, পুরাতন ১১০-১২০ টাকা, মসুর ডাল ১০০-১৩০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৪৫ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮০-১৮৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনি ১২০ টাকা, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ২০০ টাকা কেজি। এদিকে দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি।
সবজি বিক্রেতা তাইফুর রহমান জানান, দেশী ইরি বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ঘিওন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা, কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, পাতাকপি ১০-১৫ টাকা, ব্রুকলি ৩০-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবদা ৩৬০-৪০০ টাকা, ট্যাংরা সাইজ ভেদে ৫২০-৮৫০ টাকা, নদীর আঙ্গুল সাইজের চিংড়ি ১ হাজার টাকা, দেশী শিং ৫০০-৮০০ টাকা, আইড় সাইজ ভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-২০০ টাকা, বোয়াল ১ হাজার ৩৫০ টাকা, জাপানি রুই ২২০ টাকা, রুই ২০০ টাকা থেকে ওজন ভেদে ৪৫০ টাকা। কাতল মাছের দামও রুইয়ের মতোই।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল, আলম ও জহুরুল জানান, শুক্রবার দেশী মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়ে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩১০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৬০-২৮০ টাকা, প্যারেন্স মুরগি ৩০০-৩৩০ টাকা, ব্রয়লার ১৯০-২০০ টাকা ও পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া এক জোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা করে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০৫০ টাকা কেজি দরে।

About The Author

শেয়ার করুন