Last Updated on জানুয়ারি ১০, ২০২৫ by
সপ্তাহের বাজারদর : কমেনি চালের দাম, অল্প টাকাতেই ভর্তি সবজির ব্যাগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটবাজারে সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চালের দাম কমেনি। মোটা চালই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০-৫৫ টাকা। মধ্যবিত্তের ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭২-৭৫টাকা। চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের।
অন্যদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এছাড়া ডাল, আটা-ময়দা, মাছ-মাসং গত সপ্তাহের মতোই বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটোরাইস মিলের শোরুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, আটাশ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৭৮-৮০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৮ টাকায়।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, প্রতি কেজি ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮২ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫০ টাকা, স্বর্ণা ৫৬-৫৭ টাকা, আতপ চাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, মসুর ডাল ১০০-১৩০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৪৫ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি চিনি ১২০ টাকা, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৮০ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৯০ টাকা কেজি। এদিকে দেশী পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, দেশী নতুন পেঁয়াজ ৫০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা তাইফুর রহমান জানান, দেশী বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা, কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, টমেটো ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, পাতাকপি ১০-১৫ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, পাবদা ৩৬০ টাকা, ট্যাংরা সাইজ ভেদে ৫২০-৯০০ টাকা,নদীর আঙ্গুল সাইজের চিংড়ি ১ হাজার টাকা, দেশী সিং ৫০০-৯০০ টাকা, আইড় সাইজ ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০-২০০ টাকা, বোয়াল ১ হাজার ৩৫০ টাকা, জাপানি রুই ২২০ টাকা, রুই ২০০ টাকা থেকে ওজন ভেদে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছের দামও রইয়ের মতোই।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল, আলম ও জহুরুল জানান, শুক্রবার দেশী মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়ে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০০ টাকা, সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩১০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৬০-২৭০ টাকা, প্যারেন্স মুরগি ৩০০-৩১০টাকা, ব্রয়লার ১৮০-১৯০ টাকা, এক জোড়া কবুতরের বাচ্চা ২৭০-২৮০ টাকা ও পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা ভালো মানের গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০৫০ টাকা কেজি দরে।