চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মোহা. জোনাব আলী জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। সদর উপজেলায় কলেজ পর্যায়ে তিনি এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও নিষ্ঠা, প্রশ্নপত্র তৈরির অভিজ্ঞতা, শ্রেণী পাঠদানের সক্ষমতা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সহকর্মী ও কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতার মনভাব, চারিত্রিক দৃঢ়তা, ব্যক্তিত্ব, সততা ও সুনাম. শৃঙ্খলাবোধ, দায়িত্ববোধ, সময়ানুবর্তিতা, শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে নিয়মানুবর্তিতা, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি এবং শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, পেশাগত/গবেষণামূলক সৃজনশীল প্রকাশনা, সেবা ও স্বেচ্ছামূলক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা ও কর্মকা-ে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয় শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক বাছাই প্রতিযোগিতায়।
শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ক্রেস্ট ও সনদ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক জোনাব আলীর অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি সব সময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি ভালো কাজের ফল একদিন পাওয়া যাবেই। এটি মহান আল্লাহর ইচ্ছা। এ সম্মাননা পেয়ে আমি আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারীসহ ছাত্রছাত্রীদের কাছে কৃতজ্ঞ।
জোনাব আলী ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চকটোলা বালুবাগান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জোনাব আলী স্কুলজীবনে প্রথমে গান লেখা দিয়ে সাংস্কৃতিক জগতে প্রবেশ করেন। পরে কলেজ জীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং প্রবন্ধ, ছোট গল্প, নাটক, কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে পূর্ণভাবে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ বেতারের ‘গীতিকার’ এবং ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘নাট্যকার’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘গীতিকার’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে।
‘দুর্বলের আত্মীয় নেই’, ‘বিচার চাই’সহ বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে তার। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ নভেম্বর থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক সোনামসজিদ’র সম্পাদক ছিলেন। কলেজ সরকারি হওয়ায় তিনি এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।
নব্বইয়ের দশকে লেখক হিসেবে জেলা গণগ্রন্থাগার, ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া উন্নয়ন ট্রাস্ট থেকে সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজপুর চেতনা সামাজিক সংগঠন কর্তৃক প্রথমবার অনুষ্ঠিত মহারাজপুর ইউনিয়নের ৫ গুণী ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে সংবর্ধিতহন। ২০২১ সালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বইমেলায় লেখক হিসেবে সম্মাননা স্মারক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকেও বেশ কিছু সম্মাননা সনদ লাভ করেছেন।