জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সংসদ সদস্য মঈনউদ্দীন খান বাদলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে জানাজার পর রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয় এই মুক্তিযোদ্ধাকে। পরে তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কথা বলেন তার ছেলে তাইমুর নূর।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব এস এম শামিম উজ জামান প্রয়াত বাদলের কফিনে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফুল দেন বাদলের কফিনে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াও শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ জাসদের এই নেতার প্রতি। প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদের সব হুইপও ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির নেতা ফখরুল ইমাম। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতারা ফুল দেন বাদলের কফিনে।
বাদলের জানাজায় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, ফজলে নূর তাপস, এ বি তাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, নজরুল ইসলাম বাবু, শফিকুল ইসলাম শিমুল। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাসদের শিরীন আখতার।
গত ৭ নভেম্বর ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাদল। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তার লাশ পৌঁছায় বাংলাদেশে। বছর দুই আগে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বাদল।
এর আগে শুক্রবার রাতে ভারত থেকে মইন উদ্দীন খান বাদলের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ উড়োজাহাজে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে বেলা ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা, বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম কলেজে বাদ আসর তৃতীয় জানাজা এবং ইব্রাহিম নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ মাগরিব চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে সারোয়াতলীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।