আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তাই ১৫ ও ২১ আগস্টের পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওযামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন। বিএনপি জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই। এখনো তারা সেই অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। খুনিরা তাদের ষড়যন্ত্রের জাল এখনো ছড়িয়ে রেখেছে। দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর যৌবনের উত্তাপ দিয়ে গড়া স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীর মাটিতে তার সমাধির জন্য দুই গজ জমিও জুটল না। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এতই বদনসিব যে, তার মরদেহ সমাধি করা হলো রাজধানী থেকে অনেক দূরের অজপাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায়। বাংলাদেশের মাটি কি হজম করতে পারে বঙ্গবন্ধু মুজিবের রক্ত? বাংলাদেশের মানচিত্রে সমান যার অস্তিত্ব, চরিত্র হননের কোনো ছোরা দিয়ে তাকে কী নিধন করা হয়ে গেছে? অবমূল্যায়নের কোন নরুন দিয়ে ছেদন কী করা গেছে স্বাধীনতার এই বটবৃক্ষকে? না, শত ষড়যন্ত্র আর হাজার চেষ্টার পরও মুজিব মরেনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন কোটি কোটি মানুষের হƒদয়ে। একদা নিথর স্তব্ধ অন্ধকার টুঙ্গিপাড়ায় এখন লাখো জনতার ঢল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালে মুজিববিহীন বাংলায় ফিরে আসেন মুজিবকন্যা। শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আমাদের আস্থার ঠিকানা, আশার নিউক্লিয়াস, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পুরোধা। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে জাতির কলঙ্ক মোচন হয়েছে। যারা লুকিয়ে আছেন তাদেরও ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। এরই মধ্যে জোরদার করা হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা। শেখ হাসিনার তুলনা কেবল তিনি নিজেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা যেমনই অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন, তেমনই যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার করার ক্ষেত্রে তিনি অপরাধীর দলীয় পরিচয় খোঁজেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখেছেন।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মাহমুদা বেগমসহ অন্যরা।