Last Updated on জুন ১১, ২০২৪ by
শ্রীলঙ্কাকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী নেপাল
কাগজে-কলমে শক্তিতে পিছিয়ে থাকা দলগুলো চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখাচ্ছে একের পর এক চমক। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর এমন পারফরম্যান্সে অনুপ্রাণিত নেপাল। এই সংস্করণের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারাতে তাই আত্মবিশ্বাসী তারা। অধিনায়ক রোহিত পাউডেলের মতে, আসছে ম্যাচে তারা নয়, চাপে থাকবে লঙ্কানরা। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র। টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক দেশটি সুপার ওভারের রোমাঞ্চে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে দেয় বড় চমক। এরপর আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে আরেকটি বিস্ময়ের জন্ম দেয় কানাডা। ম্যাচ জিততে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল পাপুয়া নিউ গিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অল্পের জন্য জয় পায়নি বাংলাদেশও। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের হার এখন আর ‘আপসেট’ না হলেও ৮৪ রানের ব্যবধানটা ছিল চোখে লাগার মতো। শক্তিতে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর এসব পারফরম্যান্স নেপালের আত্মবিশ্বাসের পালে দিচ্ছে বাড়তি হাওয়া। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রোহিত পাউডেল বলেছেন, ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়নদের না হারাতে পারার কোনো কারণ দেখেন না তিনি। “হ্যাঁ, অবশ্যই (শ্রীলঙ্কাকে হারাতে আশাবাদী)। এই বিশ্বকাপে সহযোগী দলগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে হারাচ্ছে। আর এটা আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে, আজ বুধবারের ম্যাচের জন্য। তাই দল হিসেবে বিশ্বাস করি, আজ আমরা জিতব।” “গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং গত দেড় বছর ধরে যেভাবে ক্রিকেট খেলছি, আমি মনে করি দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা আছে এবং আমরা এদিনের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা বুধবার মাঠে নামতে চাই এবং বিশ্বের সামনে আমাদের প্রতিভা দেখাতে চাই।” শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি নেপালের আসরে দ্বিতীয়। প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছে ডাচদের বিপক্ষে। আর লঙ্কানদের জন্য এই ম্যাচ ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে তাদের সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়। আশা বাঁচিয়ে রাখতে স্বাভাবিকভাবেই নেপালের বিপক্ষে জিততে মরিয়া হয়ে থাকবে লঙ্কানরা। সঙ্গে কিছুটা স্নায়ুচাপও কাজ করার কথা তাদের। নেপাল অধিনায়ক রোহিত বললেন, এই সুযোগটাই নিতে চান তারা। “এই টুর্নামেন্টে তাকালে দেখা যাবে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। তাই দল বিশ্বাস করে, দল হিসেবে আমাদের চেয়ে বেশি চাপ থাকে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ওপর। আমরা চাপটা কাজে লাগাব, চাপ তৈরি করব। কালকের ম্যাচটা আমরা জিততে চাই। তাই আমরা যদি মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারি, আমি মনে করি আমরা এগিয়ে থাকব। আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কা দল আমাদের চেয়ে বেশি চাপে থাকবে।”