শীত

119

gourbangla logoকুয়াশার এই দীর্ঘ রাত্রি কাটিতে চাহেনা যেন
বধুটি যে ঘুরিছে পাশ স্মরিছে তাহার হেন।
চাদর গায়ে ব্যস্ত হয়ে কুয়াশার সকাল ভরে
দৈন্য মায়ের নগ্ন শিশুটি ঠক ঠক করিয়া মরে।
পাতা ঝরার প্রভাত বেলায় বিষন্ন হয় যে মন
শ্বৈত্য প্রবাহের ক্ষণে বুড়োর গেলো বুঝি জীবন।
ভোরনা হতেই কৃষক সকল দু‘পায়ে কুয়াশা মাড়ি
সোনালি ফসল ভরিতে গোলায় দিতেছে তারা পাড়ি।
কাক ডাকিছে ঘাপটি মেরে বসিয়া উঠোন কোনে
লেজ নাড়িয়া যাচ্ছে মাঠে ছাগল ধেনুসনে।
আজকে শীতের হিমের মাঝে শিশির ঝরে পড়ে
হলুদ সর্ষে ফুল ফোটে আর অলিরা গুঞ্জন করে।
খানিকবাদে পূর্বাকাশে আলো করে উঠে ঝলমল
সকালে শিশিরে রোদ্র পরে মুক্তোর মতো উজ্জল।
শতশত গাদা ফুল আর সূর্য মুখিরাও ফোটে
খেজুর রসে পিঠা আর পাটিসাপটাও জোটে।
সারাটা সকাল দুপুর গেল সহিয়া রোদ্র তেজ,
সন্ধ্যা পরে ব্যস্ত সবাই দেখিতে সার্কাস আমেজ।
ক্ষণিক বাদে ঘনিবে আঁধার নিশি হইবে কালো
বাংলা মায়ের শীত খানি যে হৃদয়ে লাগে ভালো।