Last Updated on নভেম্বর ৫, ২০২৪ by
শীত অনুভূত, তবু ব্যস্ততা বাড়েনি লেপ তৈরির কারিগরদের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রকৃতিতে দিনের বেলায় শীতের আমেজ না থাকলেও রাতে অনুভূত হচ্ছে হালকা ঠাণ্ডা। দেশের উত্তর-পশ্চিমের এই জনপদে ভোরে কুয়াশা লক্ষ করা যাচ্ছে। এরপর সারাদিন বোঝা না গেলেও রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে।
এখন চলছে হেমন্তকাল। এরপর আসবে শীতকাল। বাংলা কার্তিক মাসের পর অগ্রহায়ণ মাসেই শীত জেঁকে বসে। আর সেই শীত মোকাবিলায় মানুষ যে যার সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলা শহর ও গ্রামে গঞ্জে লেপ তৈরির কারিগররা টুকটাক কাজ করছেন। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার এখনো ব্যস্ততা বাড়েনি।
জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে ফুটপাতে লেপ-তোষক তৈরি করেন ওয়াহিদুর রহমান বাবু। তিনি বলেন- এবার এখনো ভালোভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে শীত বেশি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো কাজ বাড়বে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর এরকম সময় থেকেই কাজের চাপ থাকে। কিন্তু এবার কম।
বাবু জানান, এবার তুলার দাম বেশি। গত বছর একটি লেপ তৈরি করতে খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু এবার হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। ১৫ কেজি ওজনের একটি তোষক তৈরিতে গতবছর খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে এবার খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকা। গত বছর বালিশের জন্য ফাইবার তুলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, এবার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। শিমুল তুলা বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
নির্বাচন অফিস সংলগ্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির আরেক কারিগর লিটন আলী যোদ্ধা বলেনÑ ১৫ কেজি গার্মেন্টস তুলার একটি তোষক তৈরিতে খরচ পড়ছে ১ হাজার ৫০ টাকা, ৪ কেজি তুলার একটি তোষকে ২ হাজার ৩৫০ টাকা এবং নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে একটি গদি তৈরিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ৪ হাত বাই ৫ হাতের একটি লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে তুলার মানভেদে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
তবে দুই কারিগরই জানান, এবার তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে।