মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি নেমে আসে। বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে অনেকেই রাস্তায় আটকা পড়েন। অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে। স্কৃলের বাচ্চাদেরও ভিজতে দেখা যায়। তবে এই বৃষ্টিকে শীতের আগমনি বার্তা হিসাবে দেখছেন অনেকেই। রোপা আমনের জন্য এই বৃষ্টি সোনায় সোহাগা হচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষি অফিস ও কৃষকরা।
সোমবার দিবাগত রাত থেকেই হাল্কা বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। পরিমাণ বেশি না হলেও বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে অনেকেই আটকা পড়েন। বিভিণœ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নিরাপদ আশ্রয়ে অনেককেই বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেককেই ভিজতে ভিজতে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে দেখা যায়। বিপাকে পড়ে দুপুরে ছুটি পাওয়া স্কুলের ছেলে মেয়েরা।
এ দিকে এই সময়ে এই বৃষ্টিপাতকে অনেকেই শীতের আগমনি বার্তা বলে মনে করছেন। সিনিয়র আইনজীবী সাদরুল আমিন মনে করেন, এই বৃষ্টি ছেড়ে গেলেই হাল্কা শীত নামা শুরু হবে। মানুষ শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জরুল হুদা জানান, এই বৃষ্টিতে কোন ক্ষতি নেই। বরং রোপা আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের জন্য এই বৃষ্টি আশীর্বাদ হবে। এই বৃষ্টির ফলে ধানে সেচও খরচও বাঁচবে কৃষকের।