বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের বেঙ্গালোরে চিকিৎসাধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী শামিয়া আক্তারকে চিকিৎসা সহায়তা দিলেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মীরা। শামিয়া আক্তারের বড় বোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মীরা এই সহায়তা প্রদান করলেন।
সোমবার বেলা ১১টায় শহরের বেলেপুকুরে প্রয়াসের নকীব হোসেন মিলনায়তনে শামিয়ার বড় বোন আজিজা খাতুনের হাতে ৮৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন।
এসময় হাসিব হোসেন বলেন- শামিয়া আক্তারের মা বেঙ্গালোরে থাকায় তার বোন আজিজা খাতুন আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনের পর আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা ইতিবাচক সাড়া দেন এবং সবমিলিয়ে ৮৫ হাজার টাকা দেয়া সম্ভব হলো। এজন্য তিনি প্রয়াসের কর্মকর্তা ও কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং শামিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রয়াসের পরিচালক মুখলেছুর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
এসময় শামিয়ার বোন আজিজা জানান, শামিয়াকে দুটি কেমো দেয়া হয়েছে, আরো কয়েকটি কেমো দিতে হবে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শে অপারেশন হবে। তিনি প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় মুঠোফোনে বেঙ্গালোর থেকে শামিয়ার মা শামিয়ার জন্য দোয়া চান।
এসময় জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক নাসের উদ্দিন সজল, জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবুল খায়ের খান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক তানভির আহমেদ ও ফিরোজ আলম, শামিয়ার নানি হামিদা বানুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জেলাশহরের বেলেপুকুর মহল্লার তোফিকুল ইসলাম ও সেলিনা বেগমের ছোট সন্তান শামিয়ার ক্যান্সারের কথা জানতে পারে পরিবার। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলার বোনের নিচের হাড় ভেঙে যায় তার। রাজশাহী ও ঢাকায় চিকিৎসা করে সাময়িক পরিত্রাণ পেলেও ক্রমাগত হাত, পা ফুলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও দিনে দিনে অবস্থার অবনতি হলে গত ৭ মার্চ ভারতের বেঙ্গালোরে মজুমদার ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।