Last Updated on অক্টোবর ২৭, ২০২৪ by
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার থেকে দিনের বেলায় আবারো চুরি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেস কোয়ার্টার থেকে আবারো দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে দিনের বেলায় প্রায় ২৭ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটে।
আগের চুরির ঘটনায় মূল আসামিরা আটক না হওয়ায় এ নিয়ে ভুক্তোভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে।
জানা গেছে, হাসপাতালে কর্মরত অফিস সহকারী সাব্বির আহম্মেদ ও আয়া সামসুন্নাহার প্রতিদিনের মতো রবিবার সকাল ৮টার দিকে বেরিয়ে যাবার পর দুপুরের আগে কোনো এক সময় চুরির ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে তারা কোয়ার্টারে গিয়ে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
সাব্বির আহম্মেদ জানান, কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। রবিবার তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার পর প্রধান দরজার তালা ভেঙে ফেলে। পরে ঘরের আলমারি ভেঙে ৫ আনা সোনার একটি চুড়ি, একই ওজনের একটি রুপার ব্রেসলেট, ১৪ হাজার টাকা এবং পাশের বাসাতেও একই কায়দায় ঢুকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। এ সময় বাসার সব আসবাবপত্র এলোমেলো পড়েছিল।
তিনি আরো জানান, ঘটনার ৫ মাসেও আগের চুরির ঘটনায় আসামিরা আটক না হওয়ায় এবং বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আতঙ্কে বাস করছেন। এরই মধ্যে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বসবাসকারীরা আর নিরাপদ নয় বলে জানান তিনি।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, রেডিওলজি ও ইমোজিং কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, তারা সরকারি দায়িত্ব পালনে প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে কোয়ার্টারের ঘরের দরজায় তালা দিয়ে ডিউটিতে চলে যান। এই সুযোগে ফাঁকা বাসা পেয়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ২৭ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির পর অভিযোগ দেয়ার ৫ মাসেও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। ফলে নিরাপত্তার অভাবে কোয়ার্টার ছেড়ে তিনি অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া চুরির সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি সরকারি কাজে বাইরে থাকায় এসআই খোকনের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি তদন্ত চলছে। তবে তিনি নতুন যোগদান করায় আগের চুরির ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ জুন সকালে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেস কোয়ার্টারে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, রেডিওলজি ও ইমোজিং কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও সিনিয়র নার্স সাকেরা খাতুন দম্পতির বাড়িতে ঢুকে ২৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও লক্ষাধিক টাকা চুর করে নিয়ে যায় চোরেরা।