শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ by

শিবগঞ্জ উপজেলায় নাট্যচর্চার জোয়ারভাটা

শাহ নাওয়াজ গামা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় সংস্কৃতি চর্চা এবং এর ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায় ভারত বিভাগের পর থেকেই। ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে দুটি দেশেই রাজনীতি, অর্থনীতির সাথে সাথে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। এই বিভাজনে আমাদের পূর্ব বাংলা (পূর্ব পাকিস্তান) সংস্কৃতি কলেবরে কিছু ধস নামে। কারণ, এই বাংলায় যারা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাকে ধারণ করে রেখেছিলেন তাদের এক বৃহৎ অংশ হিন্দুস্তানে চলে যায়। তার পর নিজ নিজ শক্তি ও প্রতিভা নিয়ে দুই দেশে আবার চর্চা শুরু হয় এবং স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা শুরু করে।
সেই সময়েই শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নে বিপ্লবী কৃষ্ণ জীবন সান্যালের উদ্যোগে ‘কানসাট সাধারণ পাঠাগার’ নামে একটি লাইব্রেরি স্থাপিত হয়। পাশাপাশি ‘বালক সমিতি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানও সেখানের যুবসমাজ প্রতিষ্ঠা করে।
কাছাকাছি সময়ে কানসাটের (কুজা রাজা) সূর্যকান্ত মহাশয়ের একজন রাজকর্মচারী হেমেন্দ্রনাথ, যিনি নাটকপাগল লোক ছিলেন, তিনি একটি নাট্যমঞ্চ স্থাপনের স্বপ্ন দেখেন। সেই অভিপ্রায় থেকে রাজদরবারে খাজনা আদায়ের সাথে সাথে দু’পয়সা, এক পয়সা, এক আনা হিসাবে একটি নাট্যমঞ্চের জন্য চাঁদা আদায় শুরু করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে কিছু অর্থ জমিয়ে এলাকার দত্ত পরিবারের কাছ থেকে একটি জমি কিনে সেখানে নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই নাট্যমঞ্চ পরবর্তীতে ‘হেমেন্দ্র নাট্যমঞ্চ’ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। সেই রাজকর্মচারী হেমেন্দ্রনাথ নিজে নাটক লিখে তার পরিচালনায় নাট্যচর্চা শুরু করেন।
দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৫৭ সালে কানসাটে একটি সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র স্থাপিত হয় ‘কানসাট ক্লাব’ নামে। প্রধান উদ্যোক্তারা হলেনÑ সর্বজনাব নজরুল ইসলাম (বুদু), বদরুর রহমান মিঞা, মখলেসুর রহমান, আব্দুল লতিফ চৌধুরী, শামসুজ্জোহা (শামসু), জোহরুল হক (মঙ্গলু)। পরবর্তীতে এদের ধারাবাহিকতায় ক্লাব পরিচালনার নেতৃত্বে আসেনÑ মতিন চৌধুরী, কাজী এনামুল হক, হেদায়তুল আলম ও আরো অনেকে।
এখানে নাট্যচর্চা শুরু করেন জনাব অমল চন্দ্র সাহা (তিনু কাকা), নজরুল ইসলাম (বুদু), কায়যুল ইসলাম, আব্দুল হাই (নান্নু), এমাজ মাস্টার, টুনু মেম্বারসহ আরো অনেকে। তাদের সফল মঞ্চায়ন হিসেবে যেসব নাটক মানুষ এখনো স্মরণ করে সেগুলো হলো- অবিচার, জবাবদিহি, পথের শেষে, প্রদীপ শিখা ইত্যাদি। এখানে নাটকের আবহ সংগীতে যাদের নাম স্মরণযোগ্য, তারা হলেনÑ হারমোনিয়ামে হাসমত মিয়া এবং তবলায় গোলাম রব্বানি। গোলাম রব্বানি সেই সময়ে রাজশাহী বেতারের নিয়মিত তবলা বাদক ছিলেন।
কানসাট অঞ্চলে নাটকের পাশাপাশি আশির দশকে যাত্রাপালা মঞ্চায়নের ভালো ঐতিহ্য ছিল। যাত্রাশিল্পের সাথে নাটকের অভিনেতাদের সাথে আরো ছিলেন মালেক, পুটু ও কায়জুলের মতো প্রথিতযশা শিল্পীগণ।
সম্প্রতি কানসাট ক্লাবের নতুন করে হাল ধরেছেন সভাপতি জনাব শহীদুল হক হায়দারী ও সম্পাদক জনাব গোলাম সারোয়ার। তাদের হাত দিয়ে এলাকার সংস্কৃতি চর্চায় একটি গতিশীলতা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলায় ডা. মইন উদ্দীন আহমেদের (মন্টু ডা.) নাম নাট্যাঙ্গনে একটি অমোচনীয় নাম। তার হাত ধরে মনাকষা এলাকায় নাট্যচর্চা শুরু হয়। এই নাট্যচর্চার গুরুভার বহন করতে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মনাকষা ক্লাব’। এখানে প্রকৃষ্ট অভিনেতারা ছিলেনÑ মন্টু ডাক্তারসহ বিভূতি ভুষন, অশোক, আশরাফ উদ্দিন কাজল, মইন উদ্দীন শিকদার, আবু বাকার (খুদি, একবরপুর), ভরত (স্বর্ণকার), ভূষন (বাগবনা) ও আরো অনেকে। এদের নাটক পরিচালনা করতেন মনাকষার হারুন-অর-রশীদ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে পরিচালনার দায়িত্ব নেন জনাব সিরাজ উদ্দীন। অভিনয়ে যুক্ত হনÑ মহতাজ উদ্দীন (এফতার), কায়জার (একবরপুর), সোহেল আহমেদ পলাশ, পনির (১২ রশিয়া), তৌহিদুল ইসলাম টিয়া ও আরো অনেকে। মনাকষা নাট্যমঞ্চে উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে দেবযানী, জঙ্গলগড়, পাথর বাড়ি, ময়ূর মহল, কেরানির জীবন, একটি পয়সা, বাইজি ইত্যাদি অগ্রগণ্য।
এই এলাকার সত্তর ও আশির দশকে যাত্রাপালাও অনুষ্ঠিত হতো। এর পাশাপাশি এই অঞ্চলে আলকাপ গানের চর্চাও ছিল উল্লেখ করার মতো। এখানের আলকাপ সরকারের মধ্যে খোকা সরকার, আজিজুল মাস্টার, বুলি সরকার, মুনু ডিলার এবং কালু সরকারের নাম উল্লেখযোগ্য।
মনাকষায় উল্লেখযোগ্য অভিনেতাগণকে সাথে নিয়ে বিনোদপুর এলাকায় নাটক মঞ্চস্থ হতো। বিনোদপুরে উল্লেখযোগ্য অভিনেতাদের মধ্যে ওবায়দুল মাস্টার, জয়নাল মাস্টার ও বিশু মাস্টারের নাম অগ্রগণ্য।
এই সময় নাট্যমঞ্চে সাধারণত হাতে আঁকা দৃশ্য ব্যবহার করে মঞ্চসজ্জা করা হতো। যেমন প্রাসাদকক্ষ, মাটির কুটির, শহুরে রাস্তা, বনাঞ্চল ইত্যাদি। বৃহৎ আকারের ক্যানভাস পর্দা অংকন করে মঞ্চের পেছনে টাঙানো হতো। এই দৃশ্য পর্দাগুলো নিপুণ হাতে অংকন করতেন বারোঘরিয়া নিবাসী রতি কান্ত পাল (ঝড়– পাল)। শিবগঞ্জ তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাট্যাঙ্গনে তার হাতে আঁকানো দৃশ্যপটগুলো ছিল এলাকার নাট্যচর্চার একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। ঝড়– পালের হাতের আঁকা এই অসাধারণ সৃষ্টি চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর এক গর্বের সম্পদ। এই এলাকার নাট্যচর্চার সাথে ঝড়– পালের এই শিল্পকর্ম নিশ্চয় ইতিহাস হয়ে থাকবে।
একই সময়ে শিবগঞ্জ থানা সদরে যুবসমাজ ও ছাত্ররা ১৯৫৭ সালের ১০ এপ্রিল ‘স্টুডেন্টস ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্যোক্তারা ছিলেনÑ সর্বজনাব মীরাতুল ইসলাম, আজিজুল হক (পরবর্তীতে চেয়ারম্যান), নজরুল ইসলাম বুদু (কানসাট), ননী গোপাল পাল প্রমুখ। এই পাঠাগার ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয় এবং বইয়ের সংখ্যা বাড়ে। এর সাথে ইনডোর খেলাধুলার সংযোগ হয়।
এরপর ষাটের দশকের শেষে শিবগঞ্জে ‘থানা আর্টস কাউন্সিল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। এর উদ্যোক্তা ছিলেন এলাকার কিছু সাংস্কৃতিক মানুষ এবং তাদের সাথে ছিলেন শিবগঞ্জের চাকরিরত দু-চারজন অফিসার। স্থানীয়দের মধ্যে জনাব তোফাজ্জল হোসেন ও আমালউদ্দীন আহমেদ ছিলেন অগ্রগণ্য। তাঁর সাথে যুক্ত হন শিবগঞ্জের রাজনীতি অঙ্গনে অতিপরিচিত নাম ডা. মইন উদ্দীন আহমেদ (মন্টু ডাক্তার)। আরো যুক্ত হনÑ জনাব ফাজলে রশীদ (টুগু ডাক্তার), জনাব নজরুল ইসলাম, জনাব হাসিমুদ্দীন (ভুলু মাস্টার)। এঁরা শিবগঞ্জ বাজারে, স্থায়ী একাটি নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করে নাট্যচর্চা শুরু করেন। তাঁরা নিয়মিত কলকাতা যেতেন এবং সেখানের মঞ্চনাটক দেখে সেই সকল নাটক এখানে মঞ্চায়ন করে নাটককে বেশ জনপ্রিয় করে তোলেন। এখানে সাধারণত জনাব তোফাজ্জল হোসেন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন।
এর পরে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ। স্বাধীনতার পর নতুন এক প্রজন্ম শিবগঞ্জে ‘খুব নাট্যচক্র’ নামে নাট্যচর্চা শুরু করে। পূর্বসূরিগণের ধারাবাহিকতায় নতুন উদ্যোমে শিবগঞ্জের নাট্যমঞ্চ আলোকিত হয়ে উঠে। এবারে পরিচালনার দায়িত্ব নেন জনাব মইনুল ইসলাম বাদল। অভিনেতা হিসেবে যুক্ত হন- ঈসা আলবু হোসেন (বাবলু), আব্দুস সাত্তার মুকুল (পিঠালীতলা), আবু আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন দুলু (পিঠালীতলা) প্রমুখ।
শিবগঞ্জ নাট্যমঞ্চে যে সকল নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে তার নাম- নবাব সিরাজদৌল্লা, সম্রাট শাহজাহান, টিপু সুলতান, কঙ্কাবতীর ঘাট, পাথরবাড়ি, টাকা আনা পাই, প্রদীপ শিখা ইত্যাদি। এই সকল নাটকের মধ্যে সিরাজদৌল্লা নাটকটি জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। শোনা যায়, এই নাটকটি অন্তত ১৪/১৫ বার তাঁরা মঞ্চস্থ করেছেন। সেই থেকে তোফাজ্জল হোসেনকে সবাই নবাব হিসেবে চিনতেন।
সত্তর দশকের শেষে সংস্কৃতি অঙ্গনে স্থবিরতা আসে। এটাকে গতিশীল করার লক্ষে থানা আর্টস কাউন্সিল, খুব নাট্যচক্র ও স্টুডেন্ট ক্লাবকে একীভূত করে শিবগঞ্জ সাংস্কৃতিক পরিষদ গঠন করা হয়।
আশির দশকে শিবগঞ্জে আধুনিক নাটকের ছোঁয়া লাগে। এখানে আধুনিক নাটক প্রথম মঞ্চায়িত হয় আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ‘সুবচন নির্বাসনে’। এর পরে মঞ্চায়িত হয়- অরক্ষিত মতিঝিল, ওরা কদম আলি, অন্ধকারের নিচে সূর্য। মঞ্চে সংযোজন হয় আধুনিক আলো প্রক্ষেপণ, নতুন মঞ্চ উপকরণ। এই সকল নাটকের মধ্যে ‘অন্ধকারের নিচে সূর্য’ দারুণ মঞ্চ সফলতা পায়। এই সকল মঞ্চসফল নাটকের সূচনা ও সফলতা আসে জনাব শাহ নাওয়াজ গামার হাত ধরে। আধুনিক নাটক এবং গণনাটকে তার প্রশিক্ষণ জ্ঞান দিয়ে তিনি নাট্যাঙ্গনকে আলোকিত করেন। তার পরিচালনা ও অভিনয়ে শিবগঞ্জে শতাধিক নাটক মঞ্চস্থ হয়। তার নেতৃত্বে শিবগঞ্জের পাঁচটি নাট্যদল নিয়ে একটি নাট্য প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ‘অন্ধকারের নিচে সূর্য’ নাটকটি শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়ে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হয়। সেই নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জনাব শাহ নাওয়াজ গামা ও ঈসা আলবু হোসেন স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এলাকার নাট্যচর্চাকে বেগবান করার জন্য।
এই সময় শাহ নাওয়াজ গামার পরিচালনয় যারা অভিনয় করেছেন, তারা হলেন- ঈসা আলবু হোসেন, আবু আমিনুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, রাজপতি কুন্ডু, মানিরুল ইসলাম, নাজির হোসেন প্রমুখ। এর সাথে সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম নাট্য প্রশিক্ষণের নিমিত্তে শিবগঞ্জে একটি থিয়েটার ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এই প্রশিক্ষণের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন জনাব শাহ নাওয়াজ গামা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন নাট্যব্যক্তিত্বগণ। ওয়ার্কশপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অনুশীলন’ নাট্যগোষ্ঠীর অভিনীত নাটক শিবগঞ্জে প্রদর্শিত হয়। এই নাটকের পরিচালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃষ্ট নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় ভৌমিক।
এই নাট্যচর্চা জেলাব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শিবগঞ্জে একটি নাট্য উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি, রহনপুর থেকে একটি, শিবগঞ্জ ও কানসাটসহ মোট পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।
এইভাবে বিভিন্ন সময়ে বিশেষত স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে নাটককে বারবার মঞ্চে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কিছু কারণে এই শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এখন সমগ্র জেলায় নাট্যচর্চার কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না। এখানে দু-একটি ছোটখাটো মঞ্চায়ন জেলা শিল্পকলা একাডেমি চালু রাখলেও প্রকৃত অর্থে নাটকের প্রসার আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
পরিশেষে নাটকসহ সকল সংস্কৃতি চর্চাকে জনসম্মুখে জনপ্রিয় করতে জেলা শিল্প একাডেমিকে শক্ত ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে নাট্যমনা, সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা মনে করে। কারণ আমরা অনেক আগে থেকেই অন্তরে ধারণ করে আছি একটি শ্লোক, সেটি হলোÑ ‘নাটক সমাজ বদলের হাতিয়ার’।

শাহ নাওয়াজ গামা : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লেখক

About The Author

শেয়ার করুন