Last Updated on সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ by
শিবগঞ্জে এক রাতেই তিন কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে কৃষক দল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতাকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে পৃথক দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলা বিএনপিতে।
আহতরা হলেন- শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চকদৌলতপুর মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি দিপু হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার হাউস আলীর ছেলে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সুবেল আলী (৩০)। অপরজন হলেনÑ মোবারকপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের আহম্মেদ কবির (৪০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে একটি মোটরসাইকেলযোগে দুর্লভপুর বাজার থেকে শিবগঞ্জ বাজার ফিরছিলেন দিপু ও সুবেল। এ সময় কালুপুর পাগলা সেতু এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে।
আহত দিপুর মামা সাহিন আলী জানান, তার ভাগ্নেকে ঘটনার আগে তার এক বন্ধু ফোন করে দুর্লভপুর ডেকে নেয়। তারপর ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সাথে জড়িত দিপু কয়েকজনের নাম বলেছে। ভাগ্নের কাছে আসা ফোন এবং হামলার বিষয়টি একে অপরের সাথে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, আহত দিপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং অপরজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
অপরদিকে একই দিন রাত ১০টার দিকে টিকরী বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আহম্মেদ কবিরের ওপর হামলা চালায়। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আহত কবিরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কবিরের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা সেতাউর রহমান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম জানান, আহত দিপু ও সুবেলের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও কবির নামে আরো একজনকে আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী স্থানান্তর করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার পরির্দশক সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ শনিবার রাতে জানান, কালুপুর পাগলা সেতু এলাকায় দুজনকে এবং মোবারকপুরে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ কেউ করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে রবিবার যোগদান করা শিবগঞ্জ থানার পরির্দশক (তদন্ত) আরমান হোসেন সন্ধ্যায় জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।