শিবগঞ্জে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মেয়ের বাড়িতে ঠাঁই বৃদ্ধ দম্পতির

30

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের হস্তক্ষেপে মেয়ের বাড়িতে ঠাঁই মিলেছে বৃদ্ধ দম্পতি দাহারুল ইসলাম (৯০) ও শেরিনা বেগমের (৮৫)। বেশ কয়েক দফায় আলাপ আলোচনার পর মেয়ের বাড়িতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কানসাট-পুখুরিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের বসতবাড়িতে আয়োজিত বৈঠকে সন্তানদের নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ছেলেদের কাছে যে অর্থসম্পদ ছিল তা ফেরত নিয়ে দাহারুল ইসলামের নামে ব্যাংকে রাখারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দাহারুল ইসলাম বলেন, আমার সাত ছেলেমেয়ে। সবাই প্রতিষ্ঠিত। তবে কিছুদিন আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণেই তারা বাড়ি থেকে আমাদের বের করে দিয়েছে। যদিও অর্থসম্পদ হলো মূল কারণ। আমি ছেলেদের কাছে যাব না। তবে মেজ মেয়ের বাড়িতে থাকতে রাজি হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, বৃদ্ধ দাহারুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। ছেলেদের কাছে যে অর্থসম্পদ ছিল তা ফেরত নিয়ে বৃদ্ধ দাহারুলের নামে ব্যাংকে রাখা হবে। এর জন্য সন্তানদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও অর্থসম্পদ নিয়েই দাহারুলের সন্তানদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। তবে বৃদ্ধ দম্পতি ছেলেদের বাড়িতে যেতে আগ্রহী নয়। ফলে মেজ মেয়ের বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরও ছেলেরাও বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কামাটোলা বাবুপুর গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে বের করে দেন সন্তানরা। নিরুপায় হয়ে উপজেলার কানসাট-পুখুরিয়া এলাকায় আমিনুল ইসলামের বসতবাড়িতে আশ্রয় নেন তারা। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সেখানে ছুটে যান ইউএনও আবুল হায়াত। দায়িত্ব নেন থাকা-খাওয়ার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামসহ অন্যরা।