Last Updated on সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ by
শিবগঞ্জে আমানতের টাকা ফেরত ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে উন্মুক্ত আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংস্থায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ গ্রাহকের আমানত করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা ফেরত ও গ্রাহকদের নামে মিথ্যা চেকের মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সমাজসেবার নিবন্ধন নিয়ে এনজিও খুলে উন্মুক্ত আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক শহিদুল ইসলাম প্রায় ১৭০০ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। বর্তমানে আত্মগোপনে থাকলেও পালানোর আগে গ্রাহকের এসব টাকায় সম্পদ গড়ে তুলেছেন শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে দফায় দফায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট বললেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা আরো বলেন, জনগণের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও ঋণ ও চাকরি দেয়ার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নেয়া ফাঁকা স্ট্যাম্প ও চেক থাকায় পরিচালক শহিদুল ইসলাম তার স্বজনদের মাধ্যমে উল্টো গ্রাহক ও কর্মচারীদের নামে এখন পর্যন্ত ২২টি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে এনে অফিসে জমা দিয়েছি আমরা। সেই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন এনজিওর মালিক শহিদুল ইসলাম। এসব টাকা দিয়ে শহিদুল ও তার পরিবারের লোকজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে সম্পদ গড়ে তুলেছেন। অন্যদিকে, গ্রাহকেরা পথে বসেছেন।
গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রাহকদের ১৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেনÑ উন্মুক্ত আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাবেক এরিয়া ম্যানেজার সাজেমান আলী, ইসাহাক আলী, ম্যানেজার ইসমাইল হক, মো. রুবেল আলী, গ্রাহক শ্রী সুবেল সাহা, মো. কামাল, মমিন আলী, শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এনজিওটির পরিচালক শহিদুল ইসলামের দুটি মোবাইল ফোলে একাধিকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা দেয়া হয়। কিন্তু দুটি ফোন নম্বরের একটি বন্ধ এবং অন্যটি সচল থাকলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে পরিচালক শহিদুল ইসলামের পিতা সাদেকুল ইসলাম দাবি করেন, তার ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে এনজিও পরিচালক এক ছেলে, সে ২ বছর ধরে পলাতক। তার খোঁজ তার কাছে নেই। সাদেকুল ইসলাম উল্টো দাবি করেন, তার ছেলের জন্য তাদেরকে অন্তত ১৪টি মামলায় হয়রানিতে পড়তে হয়েছে। এমনকি তার একমাত্র মেয়েকে ২০১১ সালে কক্সবাজারে বিয়ে দেয়ার পরও মেয়ে ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।