Last Updated on জুন ২৭, ২০২৪ by
কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে নাচোলে আমবাগান পরিদর্শনে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা
শিগগিরই বিদেশে আম রপ্তানি বাড়ার আশা
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ এমপি বলেছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা আমের বাগান পরিদর্শনে এসেছেন, আমাদের আমের গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ করলেন এবং পরে তারা নিজ নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা আশা করছি, তারা বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবেন। উত্তম কৃষি চর্চা পদ্ধতি বজায় রেখে মানসম্পন্ন আম উৎপাদন করায় শিগগিরই বিদেশে আম রপ্তানি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার কেন্দবোনা গ্রামে আমচাষি মো. রফিকুল ইসলামের আমবাগান পরিদর্শনকালে বিদেশী রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিদেশী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিশে^র কাছে বাংলাদেশের আমের প্রচারের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (জিএপি) সম্পর্কে ব্রিফিং দেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের আট জেলায় আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, সবুজ পেঁপেসহ আটটি ফসলের ওপর গ্যাপ ভ্যালিডেশন ট্রায়াল চলছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) সহযোগিতায় জিএপি’র প্রটোকল বজায় রেখে আমচাষি এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক বিজয়ী রফিকুল ইসলামের এক একর জমিতে বারি আম-৩ ও বারি আম-৪-এর বৈধতা পরীক্ষাও পরিচালিত হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) যৌথভাবে বিদেশী কূটনীতিক ও মিশন প্রধানদের আম আদানিতে আকৃষ্ট করার লক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রীর পাশাপাশি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বিদেশি কূটনীতিকরা আমবাগান পরিদর্শন করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমরা দেশে-বিদেশে আমের ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। তিনি আরো বলেন, জিএপি সার্টিফিকেশন ছাড়া আমরা অন্য দেশে আম রপ্তানি করতে পারি না। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রায় এক কোটি বাঙালি। আমরা আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যিক কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ২৩টি দেশে আমের বিজ্ঞাপন দেব। কৃষি, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমের ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে, যোগ করেন তিনি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেনÑ স্থানীয় সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ, কসবা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহরাব।
ব্রুনেই, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতরা এ পরিদর্শনে অংশ নেন।
এছাড়া বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাপ্রধানরাও এ পরিদর্শন দলে ছিলেন।