Last Updated on এপ্রিল ২৩, ২০২৪ by
নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
শিক্ষকের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয় : জিয়া এমপি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার নাচোল সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এসবের আয়োজন করা হয়।
নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব এএইচএম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- নাচোল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম, নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাচোল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, নাচোল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন নাচোল উপজেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক মজিদুল হক।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, উত্তরীয় পরিয়ে তাদের ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি মু. জিয়াউর রহমান এমপি।
সংবর্ধিত গুণীজনরা হলেন- নাচোল কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াদ ফারুক, নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক ও সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান এবং নাচোল খুরশেদ মোল্লা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মঈনুদ্দিন (মরণোত্তর)।
এদিকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষয় অংশগ্রহণ করায় প্রথম স্থান অধিকারীকে নগদ ৩ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ২ হাজার টাকা এবং তৃতীয় শিক্ষার্থীকে ১ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করেছে নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশন।
বিভিন্ন বৃত্তির মধ্যে রয়েছে- চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের আলহাজ আরশাদ আলী বিশ্বাস স্মৃতি বৃত্তি, ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মোহাম্মদ আলী স্মৃতি বৃত্তি, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের রোফাজ্জল হক-সাজ্জাদ আহম্মদ স্মৃতি বৃত্তি, নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মোজাম্মেল হক মাস্টার (মাক্তাপুর) স্মৃতি বৃত্তি, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের রেশমি আরা স্মৃতি বৃত্তি, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাইনুল হক স্মৃতি বৃত্তি এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের আব্দুল মালেক চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি।
প্রধান অতিথি মু. জিয়াউর রহমান তার বক্তব্যে নাচোল কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নাচোল উপজেলাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষে বিশেষ ভূমিকা ও অবদান রাখায় ৪ গুণী শিক্ষককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আমার সংসদীয় আসনের তিন উপজেলার (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) মধ্যে নাচোল উপজেলায় শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় এই প্রথম গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার সৌভাগ্য আমার হলো।
তিনি বলেন, দেশবরেণ্য গুণীজনরা দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার মূল স্রোতকে ধরে রাখার জন্য যা যা করতে হয় তাই করেন। এর মধ্যে নাচোল উপজেলাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ৪ জন শিক্ষক যে অবদান রেখেছেন, সেই ঋণ শোধ করা কারো সম্ভব নয়। শুধু এরাই নন, কোনো শিক্ষকেরই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তিনি আগামীতে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
জিয়াউর রহমান বলেন, সকল পেশাজীবী মানুষের সহযোগিতা পেলে আমার এ সংসদীয় আসনটি শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি, রেলবন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিতে একান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। উন্নয়নমূলক সকল ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করতে আপনাদের পাশে আমি থাকব।
সংবর্ধিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিয়াদ ফারুক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোল। জীবনে সবসময়ই বড় স্বপ্ন দেখবে এবং সেটা অর্জনের জন্য পরিশ্রম করবে, দেখবে তোমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছ। এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জন্য মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী পড়বে, যা তোমাদের নীতি-নৈতিকতায় উৎকর্ষিত করবে ও সাফল্যের পানে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা অত্যাবশ্যক বলেও মনে করেন তিনি।