সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on জুলাই ১৪, ২০২৪ by

লিভার ভালো রাখতে এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

লিভার খারাপ হয়ে গেলে একাধিক জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে। এই অঙ্গটি খাদ্য হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক তৈরি করে। সেই সঙ্গে বিপাকের হারকে করে নিয়ন্ত্রণ। এ ছাড়া শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়াসহ একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই অঙ্গটি। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে লিভার ভালো রাখেতেই হবে। তাই এই অঙ্গকে সুস্থ রাখার কাজে কোনো ত্রুটি রাখা যাবে না। তবে আমাদের পছন্দের কয়েকটি খাবার কিন্তু যকৃতের ক্ষতি করে দেয়। আর সেই কারণেই এসব খাবারের থেকে যেভাবেই হোক দূরত্ব বাড়িয়ে নিতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে বড়সড় বিপদ পিছু নিতে পারে। কিন্ত এই লিভার খারাপ করে দেওয়ার জন্য আমাদের পরিচিত কয়েকটি খাবারই যথেষ্ট। চলন জেনে নিই এই ৫ খাবার সম্পর্কে। মিষ্টি: আমাদের মধ্যে অনেকেই খুব মিষ্টি পছন্দ করে। তাই তাদের রোজ মিষ্টি খাওয়া চাই-ই চাই। আর সাধারণ মানুষের একাংশের এহেন মিষ্টি প্রীতি দেখেই চমকে ওঠেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি খাবার হলো মিষ্টি। এই খাবার রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডস লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। তারপর তা গিয়ে জমতে লিভারে। আর এই সমস্যার নামই হল ফ্যাটি লিভার। এ ছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে এই অঙ্গে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামলে নিন। কোল্ড ড্রিংকস: এই ভ্যাপসা গরমে অনেকেই রোজ রোজ কোল্ড ড্রিংকসে চুমুক দিয়ে গলা ভেজান। আর এই কাজটা করেন বলেই তাদের লিভারসহ সারা শরীরের বাজছে বারোটা। আসলে এই ঠান্ডা পানীয়ে রয়েছে মিষ্টির ভা-ার। এমনকি এতে বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভসও মেশানো থাকে। যার ফলে কোল্ড ড্রিংকস খেলেই লিভারে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি পিছু নিতে পারে ফ্যাটি লিভারের মতো জটিল অসুখ।
পাঁঠার মাংস: পাঁঠার মাংস লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। কারণ, এই মাংসে মজুত রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভা-ার। আর এই ফ্যাট কিন্তু লিভারের বড়সড় ক্ষতি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই চেষ্টা করুন এই মাংসের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার। তার পরিবর্তে খেতে পারেন চিকেনের মতো সহজপাচ্য মাংস। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রসেসড ফুড: হ্যাম, বেকন, সসেজের মতো খাবার তৈরির মূল উপাদান হলো প্রসেসড মিট। আর এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো থাকে। যার ফলে এসব খাবার খেলেই বিপদে পড়তে পারে লিভার। তাই চেষ্টা করুন এগুলির থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার। তার পরিবর্তে পাতে জায়গা করে দিন শাক, সবজি, ফলের মতো ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ খাবারকে। তাতেই হাতেনাতে উপকার মিলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিরিয়ানি, রোল, চাউ: আমাদের মধ্যে অনেকেই বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনের মতো ফাস্টফুড খেতে খুবই ভালোবাসেন। আর এসব খাবার কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ, এসব ফাস্টফুডে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাটের ভা-ার। আর এই ফ্যাট কিন্তু লিভারে প্রদাহ বাড়ানোর কাজে একাই একশো। যার ফলে ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে এই অঙ্গটি। তাই চেষ্টা করুন যেন তেন প্রকারে ফাস্টফুডের থেকে দূরে থাকার।

About The Author

শেয়ার করুন