রেলে পণ্য পরিবহন থেকে ভ্যাট আদায় করতে চাচ্ছে এনবিআর

64

রাজস্ব আয় বাড়ানোমুখী উদ্যোগের মধ্যে রেলের পণ্য পরিবহন খাত থেকেও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায় করতে চাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রেলে পরিবহণে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৫ এবং অন্যান্য পণ্যে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভ্যাট আরোপে রেলের ভাড়া সমন্বয়সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে রেলওয়েকে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। এনবিআর ও রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ রেলওয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন সার্ভিস, ইজারাদার, নির্মাণ সংস্থা, জোগানদার, বিজ্ঞাপনী সংস্থার সেবার বিপরীতে ভ্যাট এনবিআরের কোষাগারে জমা হয়। তবে ট্রেনে পণ্য পরিবহনে কোনো ভ্যাট প্রদান করা হয় না। চিঠিতে ট্রেনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করা হলেও তা মূসকসহ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলওয়ে ভবনের সমন্বিত সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছে এনবিআর।
সূত্র জানায়,, ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন অনুযায়ী কোনো ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পণ্য বুকিংয়ের মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে প্রেরণ সেবার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য আছে। পরিবহন ঠিকাদার কর্তৃক সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিবহন সেবার ওপর ১০ শতাংশ ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য পরিবহনের ওপর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। তাছাড়া বাণিজ্যিক কাজে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার, মাইক্রোবাস, কোস্টার, মিনিবাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার বা অনুরূপ যেকোনো নামের যেকোনো ধরনের যানবাহন ভাড়া প্রদান করলে তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। কাজেই রেলওয়ে সরকারি হলেও তার কাজ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাতে ভ্যাট প্রযোজ্য।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা কামরুন নাহার জানান, এ বিষয়ে এনবিআরের কোনো চিঠি এখনো রেলওয়ে পায়নি। চিঠি পেলে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে এনবিআরের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান।