বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিটেন্স বৈধ পথে আনার জন্য একটি প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছিলাম। ২ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন কেউ ব্যাংকে রেমিটেন্স পাঠালে ২ শতাংশ ইনসেনটিভ পাবে। ১ জুলাই থেকে যে পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রণোদনা পাওয়া যাবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, তাদের অবহিত করতে চাই, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের পাওনা ইনসেনটিভ লস করবেন না।
তাদের পাওনা তারা পেয়ে যাবেন। দু-একদিন লাগতে পারে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে। সারা বিশ্বে আমরা সবাইকে এটি অবহিত করেছে। ১ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে টাকার উৎস জানতে চাইবে না সরকার। কোনো কাগজপত্রও চাওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, এর বেশি হলে কাগজ দিতে হবে। প্রতি ট্রানজেকশ ১৫০০ ডলারের মধ্য থাকলে, দিনে যতবার ইচ্ছে করতে পারবে। প্রতি ট্রানজেকশনের জন্য ২ শতাংশ পাবে। এ ঘোষণার পর রেমিন্টেসে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত তিন মাসে রেমিন্টেস প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫-১৬ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা পাবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম রেমিটেন্সে এ ধরনের প্রণাদনা দেওয়া হচ্ছে। বাজেটে এজন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। চলতি অর্থবছরে তা ১৮০০ থেকে ২০০০ কোটি ডলার হবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা করছেন। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।